চুক্তিভিত্তিক টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের অভিযোগ
জায়েদ আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কর্তৃক অপর এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তানদের ষ্টাম্পে চুক্তি করে অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনাটি এলাকা জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। জানাযায়, কমলগঞ্জ উপজেলার টিলাগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরজদ আলীর সন্তান আলী হোসেনে বিরুদ্ধে চুক্তিভিত্তিক টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ এবং ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জের ৫ নং সদর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুবেদার মোঃ আইয়ুর আলী চৌধুরীর ৭ ছেলে মেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর হলেও এতদিনে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায় বনগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুবেদার মোঃ আইয়ুর আলী চৌধুরীর ৭ সন্তানকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ এবং ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিবেন বলেন উক্ত উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরজদ আলীর ছেলে আলী হোসেন।
এরজন্য ৩শত টাকার রেভিনিউ ষ্টাপে ৪ লক্ষ টাকার চুক্তিপত্র করেন। এদিকে চুক্তিপত্রে আরো উল্লেখ করেছেন, সুবেদার আইয়ুব আলীর ৭ ছেলে মেয়ের নামীয় ব্যাংক একাউন্টে মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা আসার পূর্ব পর্যন্ত তিনি কোন প্রকার টাকা নিবেন না। এই চুক্তি পত্রের কথা আলী হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অর্থের বিনিময়ে সুযোগ—সুবিধা পাইয়ে দেয়ার চুক্তির কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমার মন্ত্রনালয়ে আসা—যাওয়ার খরচ হবে সেই টাকাই দাবী করেছি। আমিতো এছাড়া আর কোন টাকা নেইনি। তাদেরকে স্বীকৃতি আদায় করে দিতে না পারলে তো তাদের কোন টাকা খরচ হবেনা।
এই ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এই জন্যই কি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর দেখতে হচ্ছে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সহ সহযোগিতা পাওয়ার কথা। এ বিষয়ে আলাপকালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আলী হোসেন চুক্তি করে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,উনারা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার তাই আমি সহযোগিতা করেছি। এছাড়াও বলেন ঘর থেকে বের হলেই টাকা লাগে তাই এই চুক্তিপত্র করেছি।