প্রতারক কবিরাজ, উদ্ধার হলো গৃহবধূর আত্মসাৎকৃত নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ ১ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

 প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ




মনা যশোর প্রতিনিধিঃ

ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ

ভিকটিম মধ্য বয়স্ক বিধবা নারী। প্রায় ছয় মাস আগে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তার বাড়িতে আসে এবং সে নিজেকে একজন কবিরাজ পরিচয় দেয়। 


একপর্যায়ে কবিরাজ বলে আমি যেকোন জিনিস ডাবল করতে পারি, সে আরো বলে আমি মানুষের কল্যানে কাজ করি এবং তাদের সম্পদ দ্বিগুন করে দেই।


কবিরাজ বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তার সামনেই কৌশলে একটি নোটকে ডাবল করে দেখায়। ভিকটিম তার কবিরাজি বিদ্যা দেখে বিশ্বাস করে এবং প্রলোভনে পড়ে।


এরপর কবিরাজ তাকে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে চলে যায়।


পরবর্তীতে কিছুদিন পর গত ২৪জুন ২০২৫খ্রিঃ দুপুর বেলা ভিকটিমের ছোট বোন বেড়াতে আসে, একই সময় ঐ কবিরাজ এসে হাজির হয়। সে একইভাবে তার বোনকে প্রলোভন দেখায়।


এরপর ভিকটিম ও তার বোনকে সে বলে ঘরে যত নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার আছে সেগুলো তার কাছে দিতে, এগুলো ডাবল করে দিবে। ভিকটিম তখন ঘরে থাকা নগদ ৪,২৫,০০০/= টাকা ও ৩ ভরি সমপরিমাণের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার দেয়।


তখন ভিকটিমের সামনে কবিরাজ একটি কার্টুনের মধ্যে টাকা এবং স্বর্ণালংকার গুলো রাখে এবং ভিকটিমকে বলে দুই ঘন্টার পর এগুলো দ্বিগুন হয়ে যাবে। এরই ফাঁকে কবিরাজ সুকৌশলে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।


পরবর্তীতে প্রায় দুই ঘন্টা পর সে এবং তার বোন কবিরাজের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পায়। তখন তাদের মনে সন্দেহ হয় এবং দ্রুত কার্টুনের কাছে গিয়ে সেটি খুলে দেখতে পাই ভিতরে কয়েকটি কাগজপত্র ছাড়া কিছুই নেই। 


তখন বুঝতে পারে যে, তারা সম্ভাবত কোন প্রতারক কবিরাজের খপ্পরে পড়েছে, যে সরলতার সুযোগ নিয়ে সব কিছু আত্মসাৎ করেছে। 


এমতাবস্থায় ভিকটিম বিষয়টি জেলা পুলিশকে জানালে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনার প্রকৃত রহস্য ‍উদঘাটন সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) যশোরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।


পরবর্তীতে ডিবি’র অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/ শিবু মন্ডল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে ইং ০২/০৭/২০২৫খ্রিঃ রাত ০২.৫০ ঘটিকায় অভয়নগর থানাধীন ধোপাদী এলাকার আসামির মোঃ ইসমাইল গাজী(৪৮)কে তার নিজ বসত বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। সে ধোপাদী গ্রামের আনছার আলী গাজীর ছেলে বলে জানা যায়।


পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার হেফাজত হতে নগদ ৩,৪০,৫০০/= (তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা এবং বিভিন্ন স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ।


এসংক্রান্তে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।

সারাদেশ এর আরও খবর: