বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও ড্রেজার মেশিন জব্দ
মারুফ হোসেন, বুড়িচং প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা-বুড়িচং- মীরপুর সড়কের রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর চৌমুহনীতে ২৭ জুন সোমবার বিকালে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী মোটরসাইকেল, ট্রাক, ফিকাপ সহ অন্যান্য যানবাহনে ৭ টি মামলায় মোট ৮৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশগ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছামিউল ইসলাম, বুড়িচং থানার পুলিশ সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর সমছর উদ্দিন ভূইয়ার বাড়ীর পশ্চিমদিকের বাড়ির প্রবাসী আল আমিন এর কৃষি জমি নষ্ট করে গভীর গর্ত করে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে ভালু উত্তোলনের অপরাধে প্রায় ৩০০ ফুট পাইপ ধ্বংস করে জব্দকৃত মেশিন পীরযাত্রাপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাহেস্তা খান তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কৃষি জমি নষ্ট করে গভীর গর্ত করে ভালু উত্তোলনে স্হানীয় কৃষকেরা তাদের জমি নিয়ে অনেক আতংকে আছে। কারণ দীর্ঘ দিন ভালু উত্তোলনের কারণে তাদের জমি অনেকটা ঝুঁকিতে আছে।
উল্লেখ্য যে মনির হোসেন মনু (৫৫) তার ছেলে সুমন মিয়া (৩০) দীর্ঘ দিন ধরে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার ১০/১২ টি গ্রামে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে ভালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের অত্যাচার স্হানীয় লোকজন অতিষ্ঠ। ভয়ে কথা বলতেও পারছে না। তারা এলাকার অনেক কৃষি জমি নষ্ট করেছে। তারা মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ কাজ দীর্ঘ দিন করে আসছে। উঃ শ্যামপুরের গোলাম মোস্তফা সহ আরো কয়েকজন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার কারণে মোস্তফা বুড়িচং থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। তারপরও তাদের অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ হয়নি।এ ছাড়াও উপজেলা ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভালু উত্তোলন করে আসছে একটি সিন্ডিকেট মহল। পুকুর ও জমি ভরাট করে কৃষি জমি নষ্ট করছে এ সিন্ডিকেট মহল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন এর নেতৃত্বে ২৭ জুন সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ছামিউল ইসলাম সহ বুড়িচং থানার পুলিশ সহ ভ্রাম্যমাণ অভিযান করে। অভিযান করার সময় মনির হোসেন ও তার ছেলে পলাতক ছিলো।