টাকার অবমূল্যায়ন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ এখনই প্রয়োজন

 প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


হিলাল উদ্দীনঃ

সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে ইউএস ডলারের বিপরিতে টাকার মান অনেক কমে গেছে।  গত এপ্রিলে যেখানে ৮৪-৮৫ টাকায় একটি ডলার পাওয়া যেত তা এখন পেতে ১০৮-১১০  টাকা খরচ করতে হয়। অর্থাৎ ডলারের দাম বেড়েছে ২৯%। আর এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। বিশেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০%-৪০%। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় উৎপাদিত সব পণ্যের দাম বেড়েছে ২০%-৪০%। সাধারণ মানুষের আয় বিগত কয়েক বছরে বাড়েনি। যার ফলে জীবন নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

তাই এটা স্পষ্ট যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মূল অনুঘটক টাকার অবমূল্যায়ন। টাকার অবমূল্যায়ন রোধে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-

১) খোলা বাজারে ডলার ক্রয় বিক্রয় সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২) মানি চেঞ্জার লাইসেন্স বন্ধ বা মডিফাই করে সম্পূর্ণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ক্যাশ ডলার লেনদেন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন ভিত্তিতে প্রতি ডলার এনডোর্সের জন্য সফটওয়ারে পোস্টিং দিয়ে সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং বিমানবন্দরে তা যথাযথ চেকিং এর ব্যবস্থা করা।

৩) ডুয়েল কারেন্সী সিস্টেমে এলসি ওপেনিং এর সুযোগ দেওয়া। নিউইয়র্ক এভোইড করতে পারলে আমাদের ডলার ক্রাইসিস কমে যাবে। 

৪) ব্যাংকের প্রতিটি শাখা, উপশাখাকে ক্যাশ ডলার ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ দেওয়া এবং যথাযথ পাসপোর্টে এনডোর্স নিশ্চিত করা।

৫) প্রতিটি ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ রেট শিট ইউনিক করা। জিবিতে চার্জ ইউনিক হলে এফসিতে গেইন ইউনিক করা সম্ভব। 

৬) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার ক্রয়ে আগে আসলে আগে দেওয়ার বিধান নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে এডভান্স রিকুইজিশন এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭) ডলার পেএবল এবং রিসিভ্যাবল এর সম্পূর্ণ তদারকি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাযথ তদারকি করা এবং সে অনুযায়ী ইমপোর্ট রেস্ট্রিকশন করা। মনে রাখতে হবে ইমপোর্টকে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা যাবে না।

আমরা আশাবাদী যে সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।


অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: