মূল্যসংক্রান্ত জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২৮ দিন ধরে পড়ে আছে চিনিবোঝাই ৪২ ট্রাক

 প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারী ২০২৩, ১০:২৬ অপরাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য



মনা,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মূল্যসংক্রান্ত জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২৮ দিন ধরে পড়ে আছে এক হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনিবাহী ৪২ ভারতীয় ট্রাক। ফলে ট্রাকের ডেমারেজসহ বন্দরের চার্জ নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।


গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে ছয়টি চালানে ৮৪ ভারতীয় ট্রাকে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি বেনাপোল বন্দরে আসে। এর মধ্য তিনটি চালানে এক হাজার ২৫০ মেট্রিক টন (৪২ ট্রাক) চিনি সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্যে শুল্কায়ন করার পর খালাস দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন কম মূল্যে শুল্কায়নের অভিযোগ তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে বাকি তিন চালান বন্দরে আটকা পড়ে যায়। সেই থেকে এখনো আমদানীকৃত চিনিবোঝাই ভারতীয় ট্রাকগুলো বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে। এসব ট্রাকের চালক ও সহকারীরা ট্রাকের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।


ভারতীয় ট্রাকচালক আশিষ সরকার বলেন, ‘আমদানি জটিলতায় ২৮ দিন ধরে চিনি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছি। কবে খালাস হবে কিছুই জানি না। এই প্রচণ্ড শীতের রাতে ট্রাকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। গোসল খাওয়া নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি।’


চিনির আমদানিকারক সেতু এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ বলেন, ‘ছয়টি চালানের মধ্যে তিনটি চালান সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্য পরিশোধ করে খালাস করেছি। কিন্তু সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন হঠাৎ আমদানি মূল্য কম দেখানোর অভিযোগ তোলায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্যারিফ মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বাকি তিনটি চালানের চিনি খালাস করতে পারছি না।


বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, চিনির তিনটি চালান বৈধ পন্থায় বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। তবে যেহেতু আমদানি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র এসেছে তাই বিষয়টি কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: