৮ ঘণ্টা পর সচল বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি কার্যক্রম

 প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০২১, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


মনা,বেনাপোল (যশোর)প্রতিনিধিঃ

 আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য সচল হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা।


পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা ৪টা থেকে পুনরায় আমদানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে ব্যাপক পণ্যজটের সৃষ্টি হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরে লোড-আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল।

 

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের আগে জয়ন্তীপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ট্রাকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি করে আসছে। ফলে সড়কে তীব্র যানজটসহ রপ্তানি কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।


এ নিয়ে ট্রাক চালকসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা কয়েক দফা আন্দোলন বিক্ষোভ করলে বিএসএফের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকে এক একটা ট্রাক দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি তল্লাশি করবে না। এ কথায় কেউ আশ্বস্ত হতে না পেরে লিখিত আদেশের দাবিতে সকাল থেকে এ পথে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীরা। পেট্রাপোল বন্দরের ৩নং গেটের সামনে মাইক টাঙিয়ে সমাবেশ করেন তারা। পরে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে লিখিত আদেশ দেওয়ার পর আমদানি কার্যক্রম সচল হয়। 


বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বেনাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। স্থল পথে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যার অধিকাংশই শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল। তাছাড়া ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এমনিতেই সবসময় পণ্যজট লেগেই থাকে। একদিন আমদানি বন্ধ থাকলে পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যজট ব্যাপক আকার ধারণ করে।

অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: