ভারতের কূটনীতিক অবস্থা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

 প্রকাশ: ২০ জুন ২০২০, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন   |   বিনোদন


সাখাওয়াত হোসেন, (সাহিত্যিক ও সাংবাদিক):


এশিয়ার শক্তিধর দেশের গুলার একটি ভারত।সময়ের পালা বদলে এখন ভারতের অবস্থা নড়বড়ে।ভারতের মানচিত্রর সীমারেখা বিরোধ জন্মলগ্ন  থেকে চলছে। ১৯৬২ সালে চীনের সাথে ভারত চীন যুদ্ধ হয় এই সীমারেখা নিয়ে।তারপর থেকে চলতেছে আজও কোন সমাধান আসে নাই।সমাধান নেই নেপাল ও ভুটানের সাথে আর পাকিস্তান তো দূরের কথা।

এই বছরের ৬ই জুন ভারত চীন সীমান্ত ইস্যুতে চুক্তি হয় যার ফলাফল লাদাখা সীমান্তে ২০ জনের অধিক সেনা জীবন দান।এরপর থেকে বিশ্ব হিসাব কষাকষি শুরু ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে।


এশিয়া  মহাদেশে ভারতের কূটনীতিক অবস্থাঃ

প্রথমত ভারত-চীন ইস্যু তে এশিয়ার বা ভারতের আশেপাশে দেশ সমূহ কোন দিকে যাবে।ছোট একটা দেশ নেপাল। নেপাল এখন আর ছোট নেই, চীনা ইস্যু তে তারাও শক্তিধর কেননা গেলো কয়েকদিন আগে তারা তাঁদের সীমান্তে কালাপানিতে এক ভারতীয় জোয়ান কে হত্যা করে,কালাপানি সীমানা নিয়ে তারাও আজ যুদ্ধর আবাস দিচ্ছে। তাহলে বুঝা যায় নেপাল ভারতের সাথে কতটুকু সম্পর্ক রয়েছে।শ্রীলংকা ভারতের সাথে সুসময় থাকলেও চীনের কাছে পুরাপুরি বন্ধী।শ্রীলংকার চীনাদের এত বিনিয়োগ ও শ্রীলংকা এতটা কর্জ নিয়েছে যে শ্রীলংকা পক্ষে চীনের বিরোধ করা অকল্পনীয়। পাকিস্তান বরাবর উল্টো। তাহলে শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তানের সমর্থন পাওয়া ভারতের পক্ষে অসম্ভব।ভুটানের অবস্থা চীনের দিকে যাবে বলে ভারতীয় মিডিয়ার ধারণা, ভুটানের অবস্থা ভারত চীনের কোন দিকে থাকবে তা ম্পষ্ট না।হাতে আছে দুটি দেশ আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল ২০০০৮/১০ অব্দী। কিন্তু বর্তমানের ভারতের অবস্থা মুসলিমের উপর নির্যাতন দেখে  ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চালিয়ে যেতে নারাজ আফগান ।বিজিবি ক্ষমতা আসার পর সংসদে বলেন ভারতে যদি কোন হিন্দু আসে তার ঠাই হবে,বৌদ্ধ তারও হবে খ্রিষ্টানেরর হবে কিন্তু মুসলমানের হবে না।এই সংবাদে আফগানিস্তান তাদের অবস্থা জানিয়ে দিয়ে ভারতের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখেনি।হাতে আছে একটি দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এতদিন চুপ থাকলেও NRDইস্যু ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে  বাংলাদেশের ভারতে সাথে টানাটানি সম্পর্ক । তারপর ও চলছে বন্ধু মতো। ভারতের মতো চীনের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক। তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা কোথায়? করোনাভাইরাস বাংলাদেশ যখন আর্থিক ভাবে চিন্তিত ঠিক তখনি চীনের পক্ষ থেকে শুল্কমুক্ত ব্যবসায়ী সুবিধা। এটি কি বাংলাদেশ কে হাতে রাখতে চীনের পক্ষ থেকে আত্মীয়তা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাই বলে দিয়েছে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না শান্তি চায়।

ভারতের আশেপাশে কেউ নেই বললে ভুল হবে আমেরিকা আছে।কিন্তু আমেরিকা সরকার টিকে থাকতে চীনা ভোটার দের ভোট ব্যাংক দরকার। ট্রাম্প হয়তো কয়েকদিন পর বলবে আমার ভারত দরকার নাই। কিন্তু ট্রাম্প ভারতের শহীদের জন্য শোক ও চীনের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন।তাতে ভারতীয় টেলিভিশন গুলা হাইলাইট করে শিরোনাম করেছে।


ভারত যে শুধু বিশ্বচাপে তা না,নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাপ তাদের বেশী।করোনা ও চীনা ইস্যু আলোচনারত সব মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বাদ।তারমানে মমতা তাদের দেশের বাইরে। মদির কাছে বাংলা মানে বাংলাদেশ তাই মমতা নিমন্ত্রণ পায়নি। কাশ্মীরে বড়বড় নেতা কারাগারে রেখে নির্বাচন হচ্ছে,জনগোষ্ঠী বেশীর ভাগ মুসলিম কিন্তু তুলে নেওয়া হল তিন তালাক। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আজ দুদিনে বুঝা যায় কতটুকু দুর্বল। সোনিয়া গান্ধী লাশের হিসাব চাওয়াতে মদি বলেছিল কোন লাশ বা সৈন্য নিখোঁজ নাই। কিন্তু ভারতীয় ১০জন সৈন্য তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে চীন।রাহুল গান্ধী জন্মদিনে বলে সরকার ঘুমিয়ে ছিল, হামলা পূর্বপরিকল্পিত। তাদের অভ্যন্তরীণ অবস্থা কেমন তা বুঝা যায়, দেশের অন্তিমকালের এক হতে পারে নাই।ঘর ও বাইর দুজায়গা তাদের অবস্থান নাজেহাল।

বিনোদন এর আরও খবর: