নীলফামারীতে চাউল চোরদের দ্বারা

 প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার



মিথ্যা মামলার শিকার সাংবাদিকরা 


নুরল আমিন রংপুর ব্যুরোঃ


 নীলফামারীতে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জনতার প্রতিনিধি এন এম হামিদী বাবুসহ সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় ৫ সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। এ নিযে জেলাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।



এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর পুরো ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন। তিনি বলেন, চাউল চোরদের বিপক্ষে এবং গণমানুষের পক্ষে থাকার কারণে আমাদের সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন; এ থেকে পরিত্রাণ জরুরী। এদেশের সাংবাদিকরা ন্যায়ের পক্ষে আগেও যেভাবে ছিলো ভবিষ্যতেও তারা আরো শক্ত ভুমিকায় থাকবে। কোন চোরের কাছে সাংবাদিকরা হেরে যেতে পারেনা।



মামলার কারণ হিসেবে জানাযায়, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি নীলফামারী জেলা শাখার সহ সভাপতি গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি  সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক দৈনিক সমাজ সংবাদের প্রতিনিধি নুরুল আমিন, ক্রীড়া সম্পাদক দৈনিক আজকের দেশকন্ঠ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও দৈনিক বতর্মান কথার প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ চারজন সাংবাদিক ঈদের আগে স্থানীয় কচুকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী ভিজিএফের চাল ওজনে কম দিচ্ছিলেন। এ খবরে পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সত্যতা দেখে উপস্থিত সুবিধাভোগী, ভুক্তভোগী মানুষদের সাথে কথা বলে এবং সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। এ সময় চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গ মিলে ঐ সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল টানাটানি করে তাদের একজন নুরুল আমিনকে মারধরে আহত এবং লাঞ্ছিত করে।



এদিকে সদস্য সাংবাদিক নুরুল আমিনকে মারধোরের ঘটনায় ঈদের দুদিন আগে ৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নীলফামারী জেলা শাখার আয়োজনে চেয়ারম্যান রউফের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে।



অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান রউফ তার অপকর্ম ঢাকতে গত ৬ তারিখে ঘটে যাওয়া ঘটনা দিয়ে উল্টো ২৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাওয়া ৪ জন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এন.এম হামিদী বাবুকেও আসামী করে প্যানেল চেয়ারম্যান মোশফিকুর রহমানকে দিয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। পুলিশ কোনরুপ তদন্ত ছাড়াই ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মত একটি স্পর্শকাতর মামলা রেকর্ড করলো যা দূ:খজনক।



বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকে প্রশ্ন হলো চালতো সরকারের আর সু্বিধাভোগী এদেশের গরীব মানুষজন। সেই চাউল প্রকাশ্যে কৌশলে লুটেপুটে খাচ্ছে এদেশের কতিপয় জনপ্রতিনিধিরা। আর সেখানে বিবেকের তাড়নায় শুধু প্রতিপক্ষ,হামলা, মামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। একারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের নামে দূর্ণাম, মামলা-হামলা-হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এ থেকে সাংবাদিকরা পরিত্রাণ চায়।

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: