অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে পানির প্রতিবন্ধকতা দূর করায় মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফাটা কেষ্ট উপাধীতে ভুষিত করেছে জনগণ

 প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৭ অপরাহ্ন   |   মুকসুদপুর


 কাজী ওহিদ- গোপালগঞ্জ থেকেঃ-

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুকসুদপুর পৌরসভার টেংরাখোলা চৌরঙ্গী মোড় হতে গোপিনাথপুর গ্রামের আটাডাংগার বাওড় পর্যন্ত খাল খনন ও খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করে খাল উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছেন। ৮ অক্টোম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের চরপাড়া হতে খাল খনন এবং খালের উপরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কার্যত্রুম শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায়- ৯ অক্টোম্বর শনিবার সকালে ইস্কোভেটর (ভেকু) দিয়ে খাল খননের কার্যত্রুম শুরু করলে ওই গ্রামের লিজন মোল্যা নিজের রেকর্ডীয় জমি দাবী করে ইস্কোভেটরের ড্রাইভারকে কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শেখ মোঃ আলাউল ইসলাম,পৌর তহশিলদার মোশারেফ হোসেন, সরকারি আমিন এবং কাজের বাধাদানকারী লিজন মোল্যার পছন্দের আমিন হারুন মোল্যার মাধ্যমে নকসা অনুযায়ী মাপ দিলে খাল খননের জায়গা বাধেও তার দখলি বাড়ীর মধ্যে আরো প্রায় ১০/১৫ ফুট জায়গা সরকারি খালের সীমানার মধ্যে পড়ে। লিজন মোল্যা পরিস্থিতি বেগতি দেখে গা ঢাকা দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদের নির্দেশনায় আবার খাল খননের কার্যত্রুম শুরু করে। সকাল ৮ টা হতে রাত ২টা পর্যন্ত খাল খননের কার্যত্রুম চলমান রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে লোকজন বাধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে পানির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। বাধগুলো কেটে ফেলার সাথে সাথে পূর্বের ন্যায় পানি চলাচল শুরু হয়ে যায।মুকসুদপুর উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগিতায় সকলের প্রাণের দাবি জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় বটতলা খালের গোপীনাথপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানের পানি

প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদের স্থানীয় জনগণ জলাবদ্ধতা নিস্কাসনের লক্ষে পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধতা দুর করার সাহসি পদক্ষেপ নেয়ায় শত শত মানুষ সকাল হতে রাত ২টা পর্যন্ত নারী পুরুষ উপস্থিত থেকে মহতি কাজের প্রশংসা করেছেন। মুকসুদপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকার ময়লা আর্বজনা সহ এক শ্রেনী মানুষ তাদের সুবিধার্থে খালের উপর দিযে রাস্তা বানিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখে ছিল। বৃষ্টি বা বর্ষা মৌসমে পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। পৌর এলাকার কয়েক শত বাড়ী ঘরের মানুষ পানি বন্দি হয়ে  পড়তো। জলাবদ্ধতায় ভুক্তিভোগি লোকজন জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদের কাছে জোরালো দাবী জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জলাবদ্ধতায় ভুক্তিভোগি লোক

জনের সরেজমিনে বাস্তবাতা দেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাডঃ মোঃ আতিকুর রহমান মিয়ার সাথে সমন্বয় করে উপজেলা শহরের সকল অকার্য্য ড্রেন পরিস্কার,খাল খনন এবং খালের উপরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের উদ্যোগ গ্রহন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রায় এক/ দেড় মাস যাবৎ জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে দিন রাত ২৪ ঘন্টা নিজেই মাঠে থেকে কাজ পরিচালনা করেছেন। তার এই মহতি সাহসি ভুমিকা দেখে এলাকার হাজার হাজার মানুষ তাকে ভারত এর নায়ক মিঠুন চত্রুবর্তী ন্যায় মুকসুদপুরের ফাটা কেস্ট হিসেবে তাকে উপাধী দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদের ড্রেন পরিস্কার, খাল খনন ও খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সাহসি উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম সিকদার,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মোল্যা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মোঃ আলাউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হায়দার হোসেন, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ছিরু মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও মুকসুদপুর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মুকসুদপুর পৌরসভার সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যা, ৫নং ওয়ার্ডের কমিশনার জাকির হোসেন মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার বাবুল মোল্যা, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন

,মুকসুদপুর রির্পোটার্স ক্লাবের সভাপতি তারিকুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক নাহিদ পারভেজ জনি সহ স্থানীয় জনগণ। উল্লেখ্য থাকে, এই খাল দিয়ে এক সময়ে নৌকা চলাচল করতো। খালের পার্শ্ববতী লোকজন ময়লা আর্বজনা ও মাটি ভরাট করে খাল দখল করে রেখেছিল। বর্ষা ও বৃষ্টি মৌসমে পানি নিস্কাসন না হওয়ায় উপজেলা শহরের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদের নেতৃত্বে টেংরাখোলা সদর চৌরঙ্গী মোড় হতে আটাডাংগার বাওড় পর্যন্ত খাল খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমার রাশেদ অভিযান বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার সারা দেশে নদী দখল মুক্ত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে সেই ধারাবাহিকতায় মুকসুদপুর উপজেলার খালকগুলোকে দখলমুক্ত এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।খালটি দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থাকায় ভরাট হয়ে পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয়েছে। তিনি আরোো জানান বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি আমরা খালের পাড় বাঁধানো,গাছ লাগানো ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। পৌর সদরের এই খালটি পরিষ্কার ও সচল রাখতে পারলে এলাকার অনেকাংশেই জলাবদ্ধতা কমবে

মুকসুদপুর এর আরও খবর: