ঝিকরগাছার আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সিভিল সার্জনের কথা উপেক্ষা করে চলছে।

আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের উপজেলার মোড়ের পাশে, হাজী সামছুন্নাহার মার্কেটে অবস্থিত আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এই আয়শা ক্লিনিকে রবিবার সন্ধ্যার পর যশোরের সিভিল সার্জন প্রবেশ করে, ক্লিনিকে ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনেকের লাইসেন্স না পেয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জনের নির্দেশ উপেক্ষা করেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। সোমবার বেলা ১২টা ১৬ মিনিটের সময় আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে, ডাক্তার সন্দিপ কুমার পাল মিসেস রেশমা খাতুন (২৮), নামের এক ব্যক্তির প্রগনেন্সির জন্য আল্টাসনোগ্রাম করেন। ডাক্তার সন্দিপ কুমার পাল বলেন, হ্যাঁ, আমি দুপুরের দিকে আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে মিসেস রেশমা খাতুন (২৮), নামের এক ব্যক্তির প্রগনেন্সির জন্য আল্টাসনোগ্রাম করেছিলাম।
আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক মাসুদ বলেন, আমার ক্লিনিকে কয়দিন আগে একটা মরা বাচ্চা হয়ে ছিল। সেটা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে, কিন্তু গতকাল রাতে সেটা মিটিয়ে নিয়েছি। সিভিল সার্জনের নির্দেশে বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন প্রশ্নই আসেনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি আজ (সোমবার) সারাদিন যশোরে মিটিংয়ে ছিলাম। গতকাল (রবিবার) রাতে সিভিল সার্জন স্যারের সাথে আমি আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে ছিলাম। সেখানে ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনেকের লাইসেন্স না পেয়ে লাইসেন্স না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে আমাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে যদি কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তাদের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন বলেন, আমি রবিবার সন্ধ্যায় আয়শা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে ক্লিনিকে ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনেকের লাইসেন্স না পেয়ে লাইসেন্স না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধ রাখতে বলেছি, এবং উক্ত ক্লিনিকের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।