শীতে গরমের উষ্ণতা পেতে এক টুকরো শীতবস্ত্র কত প্রয়োজন তা একমাত্র শীতে কষ্ট পাওয়া লোকেরাই বোঝে।তাই তো শীতের গরম কাপড় পেতে ছুটছে শীতবস্ত্রের দোকানে।

 প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ


সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জি.এম স্বপ্না'র তথ্য-চিত্রে পাঠানো বিস্তারিত...


উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।তীব্র শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। গত কয়েকদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে শীতের তীব্রতা।গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের খুব বেশী ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।বিশেষ করে চরম কষ্টে দিন কাটছে দিন মজুরদের।দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তেমন দেখা মেলে না।আবার সন্ধ্যার পর পরই জনশুন্য হয়ে পড়ে হাট-বাজার গুলো।মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।ঠান্ডায় সাধারণ মানুষ যবুথবু হয়ে পড়েছে।   

পৌষের কনকনে শীতের কারণে ঠান্ডা জনিত রোগও বেড়েই চলেছে।তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী,ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।শীত বেশি পড়ায় শিশু ও বয়:বৃদ্ধদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসন ও বিত্তবানদের কাছে সমাজের অসহায় ও গরিব মানুষেরা শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড় কম্বলের আশা করছে।এখনও এ এলাকায় মানবতার হাত বাড়িয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের কোন খবর জানা যায়নি। গরম কাপড়ের অভাবে অতি কষ্টে রাত কাটাচ্ছে তারা।তাই তো সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাবাসী শীত নিবারনে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় করেছে।নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাই ফুটপাতের দোকানে বেশী কেনাকাটা করছে।শীতে কাবু মানুষেরা সোয়েটার,জ্যাকেট,চাদর,মাফলার,মুজা,উলের টুপি ও জাম্পার কিনছে দোকান থেকে।শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রতিদিন সকাল থেকে  রাত পর্যন্ত সলঙ্গা বাজারের মাংশ হাটা হতে ভূষাল হাটা পর্যন্ত ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় বেড়েছে।নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সাধ্যমত তাদের পরিবারের জন্য শীতের পোশাক কিনছে।বড়

মার্কেট ও বিপণী দোকানগুলোতে যে পোশাক ১ হাজার থেকে ১২শ' টাকায়  কিনতে হয়,সেই পোশাক ফুটপাতের দোকান ৬ থেকে ৭ শ' টাকায় কিনছে তারা।রিক্সা চালক ছমির মোল্লা জানায়,এত শীতে রিক্সা চালাতে চরম কষ্ট হচ্ছে।তাই তো ফুটপাতের দোকান থেকে কম দামে জ্যাকেট কিনতে এসেছি।ফুটপাতে কিনতে আসা ক্রেতারা আরও জানায়,বাসায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা আছে,তাদের জন্যই শীতের পোশাক কিনতে এসেছি।আরেকজন অসচ্ছল ক্রেতা জানায়,টাকা পয়সা নেই।বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছে।তবুও তাদের কথা ভেবে বাজারে ঢোপ ঘর ও ফুটপাতের দোকান থেকে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানদার আরজু,রাসেল,নান্নু,শাহ আলম জানায়,আমরা এই সিজনে শীতের পোশাক কম দামে বেশী বিক্রি করে থাকি।বাজারের বড় ব্যবসায়ীদের সাথেই মোকাম থেকে পোশাক নিয়ে থাকি।আমাদের দোকান ভাড়া,জামানত,কর্মচারি বিল,বিদ্যুৎ বিল কিছুই দিতে হয় না,তাই আমরা কম লাভে বেশী বিক্রি করি বলেই এতে আমাদের পরিবার চলে।ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করা ভ্রাম্যমান পুরাতন জ্যাকেট বিক্রেতা,সলঙ্গার সুপরিচিত মোফাজ্জল হোসেন জানান,শীতের সময় এলেই ভ্যানে করে সলঙ্গাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র জ্যাকেট,জাম্পার,সুয়েটার কম দামে বিক্রি করে থাকি।এত শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবী।এমন সময়ে সরকারি,বেসরকারি ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সলঙ্গার সচেতন মহল।

সারাদেশ এর আরও খবর: