গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীতে ভাবিকে গাছের সাথে বেঁধে ধরিয়ে দেয়া হলো আগুন

 প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী ২০২৩, ০১:৩৪ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর





গোপালগঞ্জ জেলা  প্রতিনিধিঃ





গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সুফি বেগমকে বাড়ির উঠানে গাছের সাথে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দেবর লিয়াকত মোল্যা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীরের অধিকাংশ অংশ আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ওই দেবর তার ভাবির মাথার চুল কেঁটে দিয়েছিল। পরে শালিশ মিমাংশা করে মিটিয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

কাশিয়ানী উপজেলা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরী ভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ওই দেবর তার ভাবির মাথার চুল কেঁটে দিয়েছিল। পরে শালিশ মিমাংশা করে মিটিয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার সাথে তার আপন ভাই লিয়াকত মোল্লার দীর্ঘ দিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।




অভিযুক্ত লিয়াকত মোল্লাও একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। অভিযুক্ত লিয়াকাত মোল্লা তার পৈতৃক সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু এখনো সে সম্পত্তি দাবি করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

এ বিরোধের জের ধরে আজ মঙ্গলবার লিয়াকত মোল্লা (৫০) তার ভাবি সুফি বেগম (৫০) কে ঘর থেকে বাইরে এনে উঠানে থাকা পেয়ারা গাছের সাথে বেঁধে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

কাশিয়ানী উপজেলা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পুরো শরীরই পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, ঘটনার পর পর অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জেলার খবর এর আরও খবর: