সলঙ্গায় ঈদ বাজারে জমজমাট বেচাকেনা

 প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


       


সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই সলঙ্গায় বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত থাকছে এই কেনাবেচার ভীড়। 

ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই পাদুকা ও কসমেটিকসহ বিভিন্ন বস্ত্র বিতানগুলোতে। ঈদকে সামনে রেখে সলঙ্গায় ফ্যাশন হাউজগুলোতে কেনাবেচা বেশি হচ্ছে।গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি বলে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন।তবে পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র।বেশীর ভাগ দোকানে ইতিমধ্যেই শিশুসহ তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সলঙ্গার বাজার।

এর মধ্যে সলঙ্গা বাজারের হাজী মার্কেট,মহির উদ্দিন সুপার মার্কেট,মোহম্মাদ আলী সুপার মার্কেট,অগ্রণী ব্যাংক মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটগুলোতে চলছে জমজমাট কেনাবেচা।এ ছাড়াও শাড়ি কাপড় হাটা ও তৈরি পোষাকের ঢোপ দোকানগুলোতে সারা দিনই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে।ছিট কাপড়ের দোকানে পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য দোকানীদের কাছে ভীড় করছে সাধারন নারীরা।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় নিম্ন,মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।অবশ্য নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সলঙ্গার নামীদামী শপিং মল বা দোকানে যেতে না পারলেও ফুটপাত বা গ্রামের হাটবাজার থেকে সাধ্যমত পরিবার পরিজনের জন্য কেনাকাটা করছে।তবে বাজারের বড় বড় দোকানের চেয়ে সলঙ্গার ঢোপ ঘর ও বাইরের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সমানতালে চলছে ঈদের কেনাকাটা। মনে হচ্ছে দোকানীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।

সলঙ্গা হাজী মার্কেট সাজ ঘরের পলাশ,ঢাকা কসমেটিক এর বুলবুল,ফাহিমা স্টোরের আ: মতিন এবং মোহাম্মদ আলী মার্কেট কসমেটিকসের দোকান মালিক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন,গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি,কেনাবেচাও মাশাআল্লাহ ভাল হচ্ছে।সলঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুর আলম জানান,রমজানের ১০/১২ তারিখ হতেই ঈদের কিছুটা কেনাবেচা চলছিল।তবে ১ সপ্তাহ ধরে কেনাবেচায় ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।সলঙ্গা বাজারের সিয়াম গার্মেন্টস্ এর স্বত্বাধিকারী হাফিজ জানান,ঈদ কেনাকাটায় এবার ক্রেতাদের যেমন ভীড়,বেচাকেনাও আশারুপ হচ্ছে।সলঙ্গার সুপরিচিত হিট কালেকশন মালিক জানান,

আমার দোকানে সব বয়সের মানুষের পোশাকাদির সমারোহ রয়েছে।সলঙ্গার উল্লেখযোগ্য ফ্যাশন ও বিতানীগুলোর মধ্য কোয়ালিটি বাজার,মুক্তা ফ্যাশন, রাজ কালেকশন,রায়হান ফ্যাশন, শিমুল ফ্যাশন,স্মাট কালেকশন,হাকিম লেডিস কর্ণার,মায়া ফ্যাশন,লাকি শপিং পয়েন্ট,রুহুল ফ্যাশন,জেরিন ফ্যাশন,হুমায়রা ফ্যাশন,মরিয়ম ফ্যাশন, এস আর লেডিস কর্ণার,অপর্ব লেডিস কর্ণার, মাইরা ফ্যাশন,রাইসা ফ্যাশন হাউস,শাহা জালাল গার্মেন্টস,মোহনা গার্মেন্টস,আয়শা বস্ত্র বিতাণ,শাড়ি ঘর,সিনহা থ্রি পিচ, রফিক বস্ত্রালয়,ভাই ভাই বস্ত্রালয় নামক দোকানগুলোতে জমজমাট কেনাবেচা হচ্ছে। এ ছাড়াও চাঁদনী সু স্টোর,মাঈশা সু স্টোর,মামা-ভাগ্নে সু স্টোর,রাবেয়া সু স্টোর,সলঙ্গা সু স্টোর,উল্লাপাড়া সু স্টোর নামের পাদুকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড়ে যেন দম ফেলার সুযোগ নাই। 

আজ বৃহ:বার (৪ এপ্রিল) সলঙ্গায় মার্কেট করতে আসা ক্রেতা ববিতা,সালমা,রিয়া জানান,বাচ্চাদের জন্য যে বাজেট নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু জিনিসের অনেক দাম। তাতে সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।শাড়ি কাপড়ের দোকান্দার চাঁদ আলী বলেন,শাড়ি,থ্রি পিচ বিক্রি চলছে। তবে এবার প্রচুর বিক্রির আশা করছি।তিনি আরো বলেন,শাড়ি কাপড়ের মুল্য ক্রেতা সাধারনের সামর্থের মধ্যেই আছে।নাসির পাঞ্জাবী হাউস,জাকারিয়া কালেকশন এর দোকানীরা জানান,পুরুষরা পাঞ্জাবি ও বিভিন্ন ব্যান্ডের গেঞ্জি, টিশার্ট কিনছেন তারা।কাপড়,কসমেটিক,পাদুকার দোকান ছাড়াও চিনি,সেমাই-লাচ্ছাসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দোকানগুলোতেও কেনাবেচা চলছে পুরোদমে।এ ছাড়াও সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাটিকুমরুল সিদ্দিকিয়া মার্কেট,সাহেবগঞ্জ বাজার,ঘুড়কা বেলতলা,পাঁচলিয়া, ভুইয়াগাতী,মালতি নগর আমতলা,হরিনচড়া,দবিরগঞ্জ,জোড়দিঘি,নলকা,এরান্দহ বাজার সহ বিভিন্ন ছোটবড় অনেক দোকানেও পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা।

অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: