ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ রিয়াদ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ রাসেলের ৫৯ তম শুভ জন্মদিন পালন

সৌদি আরব থেকে:-
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র,শেখ রাসেলের' ৫৯ তম' শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ (রিয়াদ, আওয়ামী লীগ) ও রিয়াদ মহানগর আওয়ামী যুবলীগ।
ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (রিয়াদ আওয়ামী লীগ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাক্তার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মাদবর এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রিয়াদ মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি আরকান শরীফ, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুল ইসলাম পলাশ, রিয়াদ মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ মাতুব্বর।
বক্তব্য রাখেন রিয়াদ মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি গোলাম সামদানী, রিয়াদ মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন মিলন, রোকন মাদবর, জুয়েল মাদবর, লাভলু মাদবর, ও চুন্নু মুন্সী প্রমুখো।
এ সময় ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ (রিয়াদ আওয়ামী লীগ) এর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মাদবর তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগে'র সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে।
বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা 'নীলকণ্ঠ পাখি' মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী।
তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে।
কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তার রাজনৈতিক শক্তি।
শেষে বক্তারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার ভিলেন মেজর জিয়া, খন্দকার মোস্তাক গংদের মরনোত্তর বিচার দাবী করে,
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশে বিদেশে সকল দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা প্রেমী জনতাকে ২০২৪ এর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।