খুলনার ৯ উপজেলায় আম্পানের তাণ্ডবে দিশেহারা কৃষক ফসলের ব্যাপক ক্ষতি।

খুলনা ব্যুরো প্রধান জিয়াউল ইসলামঃ
হাড়ভাঙা খাটুনিতে ফলানো সোনালী ফসল নষ্ট হয়ে গেছে চোখের সামনেই। এরপরও সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে দিশেহারা কৃষক আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর। বলছেন সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তা কোনভাবেই সম্ভব নয়। খুলনার-৯ উপজেলায় প্রায় ৫৬ কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
নোনা জলে ফসল ফলানোর সংগ্রামে সংসার চলে উপকূলের বাসিন্দাদের। পানির সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করেই যেন বেঁচে থাকতে হয় তাদের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথেও লড়াই করতে হয় নিরন্তর।
আপস,
যেমন সবশেষ সুপার সাইক্লোন আম্পান। চোখের সামনেই তছনছ করেছে সব শুধু ঘর-বাড়িই কেড়ে নেয়নি, কৃষকের ঘাম ঝরানো সোনালী ফসল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে চোখের সামনেই।
কৃষকরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জমি এখন লবনাক্ত, এবার আর আবাদ হবে না ধান। তাই কৃষকের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা সংসার চালানো নিয়েও মনে শঙ্কার কালো মেঘ।
এই যখন পরিস্থিতি তখন কৃষকদের প্রণোদনা দেয়াকে সময়ের দাবি বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। কৃষি বিভাগও দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস।
প্রবল ওই ঘূর্ণিঝড়ে খুলনার ৯ উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ফসলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৬ কোটি টাকা।