বেনাপোলে বন্ধন এক্সপ্রেস চোরাচালান রোধ এবং যাত্র সুবিধার্থে প্রশাসনের কড়া নজরদারীর আওতায় "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেন

 প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ন   |   খুলনা



মনা,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেন এখন প্রশাসনের কড়া নজরদারীর আওতায়। চোরাচালান রোধ এবং বেনাপোল রেল স্টেশন ঘিরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম ঠেকাতে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত রুটিন মোতাবেক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে "টাস্কফোর্স" অভিযান। কাস্টম, পুলিশ,বিজিবি এবং আনসার সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে "টাস্কফোর্স"টি পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা- ফারজানা ইসলাম,সহকারী কমিশনার(ভূমি) শার্শা,যশোর।


বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল/২০২৩) সকালে ভারতের কোলকাতা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনটি বেনাপোল এসে পৌছলে "টাস্কফোর্স" কর্তৃক ঘোষিত সকল নির্দেশনা পালনে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নিয়ম মেনে ট্রেন যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে নিজেদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে স্টেশনে অবস্থিত ইমিগ্রেশন এবং কাস্টম কার্যালয়ে প্রবেশ করে।


উল্লেখ্য,বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান এবং পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা সহজতর এবং সময় উপযোগী হওয়ায় যাত্রী চলাচলে "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার রেল স্টেশনটি সীমান্তের সন্নিকটে হওয়ায় চোরাচালানী এবং বহিরাগতদের আস্তানার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিষয়টি নজরদারীতে আনার পরিকল্পনা করে শার্শা উপজেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনা রুটে ৪৫৬ আসনের আন্তর্জাতিক মানের যাত্রিবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনটির কেবিনে সিট ভাড়া দেড় হাজার টাকা ও চেয়ার কোচের ভাড়া এক হাজার টাকা (ভ্রমণকর ৫০০ টাকাসহ) নির্ধারণ করা হয়। "বন্ধন এক্সপ্রেস" চালুর পর থেকে যাত্রীরা সরাসরি খুলনা-কলকাতা যাতায়াত করছে। বেনাপোলে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে। আবার বিকেলে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। 


বৃহস্পতিবার সকালে আসা বেনাপোল "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে,ঐ ফোর্সের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম জানান, "পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ট্রেনে টাস্কফোর্সের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনের কিছু পাসপোর্টধারী যাত্রী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রায় প্রত্যেকে ভারত থেকে কম্বল, মদ, থ্রি-পিস, চকলেট, মোবাইল, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে আসে। সপ্তাহে দুই দিন "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনটি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এ ট্রেনটি চোরাচালানকারীদের দখলে চলে গিয়েছিল। সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। "টাস্কফোর্স" অভিযান চালাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে"।


"টাস্কফোর্স" অভিযান পরিচালনা করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে আইনি সহায়তা প্রদান করেন- তানভীর আহম্মেদ(ডেপুটি কাস্টম কমিশনার,বেনাপোল কাস্টম হাউস),

 র‍্যাব কর্মকর্তা, বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া,বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আহসান কবির,বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার-সাইদুজ্জামান,বেনাপোল রেল পুলিশ কর্মকর্তা,শার্শা উপজেলা আনসার এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-আব্দুল্লাহ আল রাসেল,যশোর থেকে আগত আরএনবি কর্মকর্তা,বেনাপোল আরএনবি কর্মকর্তা-এএসআই রানা সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারবৃন্দ।

খুলনা এর আরও খবর: