পরিবেশের ভারসাম্য যেন নষ্টের পথে!!

মাহাবুবুল ইসলাম আবির,জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ :পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে মোট ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটা চালু আছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫ ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটায় বছরে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ ইট তৈরি হচ্ছে। এসব ইটভাটার বছরে ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি লাগে।
দেশের বেশির ভাগ ইটভাটা নিয়মবহির্ভূতভাবে চলছে। এসব ইটভাটার কারণে ঘটছে বায়ুদূষণ। সকাল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বায়ুর মানের দিক থেকে বিশ্বে ঢাকার অবস্থান ছিল শীর্ষ চারের মধ্যে।
দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও খুব বেশি সুফল মিলছে না; বরং অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করলেও সেগুলো আবার চালু হয়ে গেছে। এরমধ্যে উল্লেখ্য জনক হলো, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও ফতুল্লার ডিগ্রীরচর এলাকার ইট ভাটা গুলো। এই নারায়ণগঞ্জের চালু অর্ধেকের বেশি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, চলছে ইটভাটা আইন অমান্য করে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এ বলা হয়েছে, বসতি এলাকা, পাহাড়, বন ও জলাভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা করা যাবে না। কৃষিজমিতেও ইটভাটা অবৈধ। অথচ দেশের প্রায় শতভাগ ইটভাটা এই আইন মানছে না। কিন্তু এই আইন যেন মানতে নারাজ নারায়ণগঞ্জ ইট ভাটা মালিক সমিতি। এই আইন তো মানছেই না বরং জনবসতি পূর্ণ এলাকার মাঝেই গড়ে তুলছে অবৈধ ইটভাটা।এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের এর বন্দরের দাসেরগাও, লাঙ্গলবন এলাকায় ইটভাটা রয়েছে ১০০ টি উপরে। শুধু বন্ধই নয়, ফতুল্লার ডিগ্রীরচর নদীর পাড়ে রয়েছে একশটিরও বেশি অবৈধ ইটভাটা।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে লাঙ্গল বন এলাকার ইট ভাটা গুলো থেকে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ দূষণ উল্লেখ্য জনক মাটি দূষণ। ও ফতুল্লার ইটভাটা থেকে সব থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে পানি ও বায়ু দূষণ।
এ সম্পর্কে ইট ভাটার মালিক পক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে মালিকপক্ষ কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।