পল্লী বিদ্যুৎ এর চাঁদাবাজি বন্ধ হবে কবে?

 প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২০, ০২:০৪ অপরাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ


মোঃ আলমগীর হোসেন ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

 প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ এর বিল,তবে তা বৃদ্ধি করা হচ্ছে ব্যাবহারিক কারণে নয় বৃদ্ধি পাচ্ছে অদক্ষ আর সেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করা কিছু কর্মকর্তার কারণে। 


ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু বিদ্যুৎ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে,প্রত্যেকের বিল পূর্বের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে। পরে সাধারণ জনগণ নিজ নিজ মিটার মিলিয়ে দেখতে পান তাদের মিটারে যে ইউনিট রয়েছে তার চাইতে বেশি লিখা আছে বিলের কাগজে যা ১৫ দিন পূর্বের তারিখে নেওয়া হয়েছিল,অথবা ১৫ দিন পরে ঐ রিডিং এর চাইতে কিছু বেশি ইউনিট আছে মিটারে।এটি শুধু এই এলাকাতেই সীমিত নয় আরো বিভিন্ন যায়গায় একি সমস্যা হয়ে আসছে। আর এই সমস্যার সমাধান হিসেবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অফিসে গিয়ে বিলের সমস্যা ঠিক  করার কথা বলে দায় এড়িয়ে যায় অথবা আগামী মাসে সমন্বয় করা হবে বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর কতোদিন এই সমস্যার সমাধান খুজবে? 

প্রতি মাসেই যদি এমটা হয় তাহলে কি লাভ পয়সা দিয়ে রিডিং নেওয়া নামক নাটকের? সাধারণ মানুষ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায়। 


এই বিষয়ে কথা বলা হয় উক্ত এরিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার সাথে। তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তিনি এই মাসে এই এরিয়ার দায়িত্বে নেই।  পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে আলোচিত বার্তার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিকে বলেন 'ভাই এটা ফিনেনশিয়াল সেকশনের বিষয় তাই তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।'। 



তাই এখন সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না যে কবে বা কিভাবে তারা এই মাসিক চাদার বোঝা হতে নিজেরা পরিত্রাণ পাবে। তবে খুব তারাতাড়ি এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান। কেননা তিনি জেলার অভিভাবক তার দ্বারস্থ হয়ে হয়তো বিদ্যুৎ অফিসের এই মাসিক চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পেতে পারেন সাধারণ মানুষ।

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: