১০ মহররমঃ ইমাম মাহদি(আঃ) ফাউন্ডেশন,শার্শা'বেনাপোলে উদ্যোগে "শোক মজলিস ও মিছিল" অনুষ্ঠিত

 প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন   |   ধর্ম




মনা,যশোর প্রতিনিধিঃ

আরবি হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। ইসলামি পরিভাষায় মহররমের ১০ তারিখকে "আশুরা" বলা হয়। সৃষ্টির শুরু থেকে মহররমের ১০ তারিখে তথা আশুরা'র দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরা'র মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে নবীর দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.) এর শাহাদাত, বিশ্ববাসীর কাছে এই দিনটিকে সর্বাধিক স্মরণীয় ও বরণীয় করে রেখেছে।


ইরাক রাষ্ট্রের কারবালা প্রান্তরে ঘটে যাওয়া হযরত হোসাইন(রা.)'র শাহাদত বার্ষিকী'র দিনটি যথাযথ ধর্মীয় গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।


এ উপলক্ষে শনিবার(২৯ জুলাই) বিকাল ৪ টায় ইমাম মাহদি(আঃ) ফাউন্ডেশন,শার্শা,যশোর বন্দর নগরী বেনাপোলে "শোক মজলিস ও মিছিল" বের করে। ফাউন্ডেশনের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ কালো পোষাক পরিধান করে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে বন্দর এলাকা সহ বেনাপোল বাজার প্রদক্ষীন করে পুণরায় পৌর বিয়ে বাড়ী এসে শেষ হয়।


কারবালা প্রান্তরের ঘটনা ছাড়াও ১০ মহররমে আল্লাহপাকের অনেক নেয়ামত বর্ষিত হয়েছে,যা পবিত্র কোরআন মাজিদ ও হাদিস গ্রন্থগুলোয় প্রকাশ পেয়েছে। উল্লেখযোগ্যের মধ্যে রয়েছে-

নূহ নবী'র নৌকা ৪০ দিন পর জুদি পাহাড়ের পাদদেশে মাটি স্পর্শ করে ঐতিহাসিক এই আশুরার দিন, এ দিনেই হজরত ইবরাহিম (আ.)'র জন্ম, ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধিতে ভূষিত ও নমরুদের অগ্নি থেকে রক্ষা পাওয়া, হজরত ইদরিস (আ.) কে বিশেষ মর্যাদায় চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়, সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর হজরত ইউসুফ (আ.)'র সঙ্গে তার পিতা হজরত ইয়াকুব (আ.)'র সাক্ষাৎ।


নবী আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ ১৮ বছর কুষ্ঠরোগ ভোগ করার পর আরোগ্য লাভ করেছিলেন আশুরার দিন। হজরত ইউনূস (আ.) ৪০ দিন মাছের পেটে থাকার পর মুক্তিলাভ করেন, ঘটনাক্রমে হজরত সোলায়মান (আ.) সাময়িক রাজত্বহারা হন, আল্লাহতায়ালা তাকে আবারও রাজত্ব ফিরিয়ে দেন আশুরার দিনে।


"আল্লাহপাক" হজরত মুসা (আ.) ও তার অনুসারী বনি ইসরাইলদের ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত করে পানির মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দিয়ে পার করে দেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ সাগরে ডুবিয়ে মারেন আশুরার দিন। হজরত মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আশুরার দিনে। এ দিনে হজরত ঈসা (আ.)'র জন্ম হয় এবং ইহুদিরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে আল্লাহতায়ালা তাকে ফেরেশতা কর্তৃক সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন এ দিনেই। দাবী করা হয়, কাবা শরিফ সর্বপ্রথম গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয়েছিল আশুরার দিন।


পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গেও আশুরার দিনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আশুরার দিনেই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন আকাশমালা, মর্তজগৎ, পর্বতরাজি, লওহ-কলম ও ফেরেশতাদের। আশুরার দিনে আল্লাহ নিজ আরশে আজিমে অধিষ্ঠিত হন। এভাবে পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ দিনের তাৎপর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ধর্ম এর আরও খবর: