জাতীয় সমাবেশ সফল করতে তুরাগ মধ্য থানা জামায়াতের বর্ণাঢ্য স্বাগত মিছিল

 প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন   |   রাজধানী


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তুরাগ মধ্য থানা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য স্বাগত মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ জুন (রবিবার) তুরাগ মধ্য থানার দিয়াবাড়ি ও রানাভোলা ওয়ার্ডের পৃথক আয়োজনে দুটি স্বাগত মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পথসভা ও মিছিলগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল—জাতীয় সমাবেশকে ঘিরে জনমত সৃষ্টি, জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলের কর্মীদের মাঝে সাংগঠনিক প্রস্তুতি জোরদার করা।

দিয়াবাড়ি ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভা ও মিছিলটি বাদ আসর খালপাড় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে চন্ডালভোগ, দিয়াবাড়ি অতিক্রম করে শুক্রভাঙ্গা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপরে রানাভোলা ওয়ার্ডের পথসভা ও মিছিলটি বাদ মাগরিব সরকার মার্কেট থেকে শুরু হয়ে ফুলবাড়িয়া বাজার, সিরাজ মার্কেট, রানাভোলা ও বটতলা অতিক্রম করে। 

পথসভা ও স্বাগত মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন- ৫৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সুরুজ্জামান, নায়েবে আমীর কামরুল হাসান, থানা আমীর গাজী মনির হোসেন এবং ঢাকা-১৮ আসনের জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক সহ আরও অনেকে।

৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সুরুজ্জামান বলেন, “একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজন জনতার ঐক্য ও সৎ নেতৃত্ব। আমরা তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এমন নেতৃত্ব গড়তে চাই, যারা জনগণের পাশে থাকবে, জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ সেই ঐক্যেরই প্রতিচ্ছবি হবে।”

নায়েবে আমীর কামরুল হাসান বলেন, “শুধু একটি সমাবেশ নয়, ১৯ জুলাই হবে একটি নতুন গণজাগরণের সূচনা। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে পরিবর্তন চাই। এই আয়োজন মানুষের আত্মার আহ্বান—যারা অন্যায়, দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়।”

তুরাগ মধ্য থানা জামায়াতের আমীর গাজী মনির হোসেন বলেন, “বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার জাগরণ আজ সময়ের দাবি। ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই পরিবর্তনের নতুন পথ রচিত হবে।”

ঢাকা-১৮ আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই—যেখানে মানুষের ভোটাধিকার থাকবে, বিচার থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে। ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ হবে সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি ঐতিহাসিক সূচনা। শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং ইসলামপন্থী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের সম্পৃক্ততা ও তরুণদের জাগরণই আমাদের শক্তি। ইনশাআল্লাহ, জনগণকে নিয়েই আমরা নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব। ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ হবে জনগণের অধিকার আদায়, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামী মূল্যবোধ পুন:প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি তুরাগবাসীকে এই সমাবেশে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

উভয় মিছিলে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তুরাগ মধ্য থানার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ বাচ্চু, বায়তুলমাল সম্পাদক মো: মজিবুর রহমান, যুব বিভাগের সভাপতি কামরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মোঃ হোসেন, কর্মপরিষদ ও মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা ওয়ারেছ আলী মুরাদ, দিয়াবাড়ি ওয়ার্ড সভাপতি জুলফিকার রহমান, ওয়ার্ড নেতা ওয়ারিছ উদ্দিন মুরাদ, রানাভোলা ওয়ার্ড সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ফুলবাড়িয়া ওয়ার্ড সেক্রেটারি মেহেদী হাসান সহ অর্ধ সহস্রাধিক লোকজন।

রাজধানী এর আরও খবর: