ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মরিচ চাষের উপর কৃষকের মাঠ দিবস উদযাপন করা হয়েছে

 প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন   |   কৃষি ও প্রকৃতি


স্টাফ রিপোর্টার, হাসিনুজ্জামান মিন্টু বৃহস্পতিবার (২৬জুন) সকালে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গরকতগাঁও গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মাঠ দিবসে প্রদর্শনী কৃষক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) শহিদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফিউল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুদ রানা ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হারুনুর রশিদ। এসময় বক্তারা মালচিং পদ্ধতির সুবিধা অসুবিধা ও লাভ ক্ষতির তথ্য উপস্থাপনসহ পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে সার ও বালাইনাশক ব্যবহারের প্রযুক্তি বিষয়ে ইউনিয়নের উৎপাদক দলের সদস্যসহ শতাধিক কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করেন। এ বিষয়ে উপজেলার গরকতগাঁও ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার মাসুদ রানা বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমি থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেইসঙ্গে ফসলের রোগবালাই কম হয়। সেচ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি জমে ফসল নষ্ট হয় না। সেচের পানি ও সারের অপচয় কম হয়। জমি চাষাবাদে শ্রম কমে যাওয়ায় শ্রমিক কম লাগে। উৎপাদন খরচ কমে যায়। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলন অনেক বেশি হয়। গাছের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এতে কৃষক সব দিক থেকে লাভবান হয়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন পলিথিনে মালচিং পদ্ধতিতে প্রদর্শনী আকারে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে পলিথিনে মালচিং পদ্ধতিতে মরিচের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে । আর এতে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

কৃষি ও প্রকৃতি এর আরও খবর: