আজ ২০ আগষ্ট মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদারের ৬৩তম জন্মদিন

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০২১, ০১:২৮ অপরাহ্ন   |   জন্মদিন



জাহিদুর রহমান, 

আজকের এ দিনে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি'র অত্যন্ত আস্থাভাজন। ভাবড়াশুর ইউনিয়নের ভাবড়াশুর গ্রামের সিকদার পরিবারে জন্ম নেন মোঃ রবিউল রবিউল আলম সিকদার,। এই মানুষটি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। স্কুল জীবন থেকেই ঝুঁকে পড়েন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির দিকে। কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন  ভাঙ্গা কেএম কলেজে এবং এখানে তিনি ছাত্রলীগের সাথে  সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

পরবর্তীতে ১৯৮০-৮২ পর্যন্ত খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতোমধ্যে একজন ক্রীড়া বিদ (ফুটবল খেলোয়াড়) হিসেবে ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন  করেন।

এরপর ১৯৮৩-৮৭ পর্যন্ত মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৯২ সাল থেকে একে একে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,  উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি,  উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ সাল থেকে  অদ্যাবধি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আমাদের রাজনৈতিক অভিবাবক জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ভাইয়ের একান্ত আস্থা ভাজন প্রিয় এক কর্মী হয়ে।


ভাবড়াশুর ইউনিয়নের এই কৃতি সন্তান জনপ্রতিনিধি হিসেবেও গড়েন অনন্য এক নজীর। ১৯৯২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটানা তিনবার ভাবড়াশুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সতের বছর (১৯৯২-২০০৯) ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ভাবড়াশুর তো বটেই সম্ভবত সমগ্র মুকসুদপুর উপজেলার দীর্ঘ মেয়াদি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনন্য নজীর স্থাপন করেন।

অবশেষে ২০০৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ১৭ হাজারের ও বেশী ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৮৮-৯৮ পর্যন্ত প্রায় দশ বছর শিক্ষকতা করেছেন কালী নগর উচ্চবিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে কালী নগর উচ্চবিদ্যালয়, জলিরপাড় জেকেএমবি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়(৩ বার) পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে বঙ্গরত্ন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে ৩য় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন পাশাপাশি কৃষ্ণাদিয়া বাগু মৃধা উচ্চবিদ্যালয় ও ভাবড়াশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রেখে চলছেন। 


গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এই মানুষটি বর্ণাঢ্য এবং কর্মমুখর এক রাজনৈতিক জীবন গঠন করে আজ প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ভাইসহ মুকসুদপুর উপজেলার আওয়ামী আদর্শের প্রতিটি মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে পেরেছেন। নিজ ইউনিয়নের জনগণকে দিতে পেরেছেন তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী। 


শিরোনামে 'গুরু' শব্দের ব্যবহার প্রাসঙ্গিক কিনা জানিনা, তবে প্রকাশ্যে অথবা অগোচরে মুকসুদপুর উপজেলার আওয়ামী কর্মীদের মধ্যে কতো জনায় এই মানুষটিকে রাজনৈতিক গুরু মানেন তার পরিসংখ্যান একমাত্র আল্লাহ ই জানেন। তবে দ্বিধাহীন চিত্তে আমরা অনেকেই স্বীকার করবো যে আমাদের মতো অসংখ্য কর্মীকে নিজ হাতে রাজনীতির পাঠ শিক্ষা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের প্রিয় অভিবাবক মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অব্যাহত ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 


আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি- কোন শক্রুব্যক্তি এমন কি ভিন্ন মতের রাজনৈতিক ব্যক্তিও স্বীকার করবেন যে সাংগঠনিক দক্ষতায় রবিউল আলম সিকদারের যোগ্যতা প্রশ্নাতীত। আর এজন্যই জননেতা ফারুক খানের এই বিশ্বস্ত কর্মী মুকসুদপুর উপজেলার অনেকের কাছেই অন্যরকম এক গুরু হিসেবে বিরাজমান।


কোন মানব চরিত্রই ত্রুটি- বিচ্যুতির উর্ধ্বে নয়। হয়ত রবিউল ভাই ও এর ব্যতিক্রম নন। এই শুভ দিনে সবকিছু ভুলে গিয়ে নিবেদিত এই ব্যক্তির সামগ্রিক শুভকামনা করছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ভাই কে, যিনি গ্রামের এই মানুষটিকে আস্থায় রেখে প্রস্ফুটিত হওয়ার সুযোগ দিয়ে আজকের নিবেদিত রবিউল আলম সিকদার তৈরি করেছেন। 

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের মুক্তা ভাবী, জান্নু দাদাসহ ভাবড়াশুর ইউনিয়নের সকল জনগণকে এবং সর্বোপরি মুকসুদপুর আওয়ামী পরিবারের প্রতিটি সমর্থক, কর্মী এবং আমাদের শ্রদ্ধা ভাজন সকল নেতৃবৃন্দ কে- যাঁরা সর্বদা সাথে রেখে, সাথে থেকে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। 


পরিশেষে আমার ব্যক্তি জীবনের, রাজনৈতিক জীবনের, সামাজিক জীবনের এমনকি আদর্শিক জীবনের এই অভিবাবকের শুভ জন্মদিনে তাঁর সামগ্রিক মঙ্গল কামনা করছি, সুস্থতা কামনা করছি, দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি। 

দীর্ঘ জীবী হোন যেন আরও অনেক অনেক বছর আপনার সাথে কাজ করে যেতে পারি, শিখতে পারি। কারণ আমার দৃষ্টিতে আপনি অনন্য এক রাজনৈতিক গুরু।

জন্মদিন এর আরও খবর: