লক্ষ্মীপুরে সৎ মায়ের নিযার্তনে শিকার হয় সায়েম, ৩ দিন ধরে রায়পুর থানার পুলিশের আশ্রয়ে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি শরিফ হোসেন
লক্ষ্মীপুরে সৎ মায়ের নিযার্তনে শিকার হন (৯) বছরের কিশোর সায়েম সে বলে মা (সৎ মা) আমারে শুধু মা রে। আব্বা কিছু কয় না। দেখেন আমার শরীরে দাগ লাগি আছে। আমি ব্যাথা পাই। আমি পুলিশের সাথে থাকুম। পুলিশের চাকরি করুম। আর বাড়ি যামু না। আবার আমারে মারবো এ বলে বুক ফুলিয়ে কাঁদতে থাকে। আজ শনিবার (১ আগষ্ট) ঈদের দিন বিকালে ৪টার সময় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার ওসির সাথে সাক্ষাতে গেলে শিশু সায়েম (৯) কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলেছেন।
অসহায় শিশু সায়েম জেলার সদর উপজেলার পালেরহাটের মুক্তারামপুর গ্রামের কালু মিয়া ও মৃত কুলসুমার ছেলে। তার সৎ মা স্বপ্না বেগম।।।
পুলিশ জানান, প্রায় দেড় বছর বয়সে শিশু সায়েম তার মা’কে হারান। তার কয় মাস পর সায়েমের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা শিশু সায়েমকে সহ্য করতে না পেরে মানুষিক ও শারিরিক নির্যাতন করে। এছাড়াও অনাহারেও থাকতে হয় শিশুটিকে। দিনমজুর বাবা এসব দেখেও কিছুই বলার সাহস পায়নি। অবশেষে নিরুপায় সায়েম ৪ বছর বয়সে বাবার ঘর ছেড়ে বিভিস্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত বুধবার রাতে সায়েম থানা মসজিদের সিঁড়ির সামনে ঘুমিয়ে ছিলো। মসজিদের কয়েকজন মুসুল্লি সায়েমকে দেখে থানায় নিয়ে আসেন। রায়পুর থানার ওসি সদর থানার ওসি’র মাধ্যমে সায়েমকে নিয়ে যেতে তার বাবাকে সংবাদ দিলে সে আসেনি। কিন্তু সায়েম গত ৩ দিন পুলিশের আশ্রয় রয়েছেন ও ভালোবাসায় মগ্ধ।
শিশু সায়েম বলেন, “আমি থানা থাইক্কা কোনানো যামু না। পুলিশের কাছে থাকুম। আমিও বড় হয়ে পুলিশ হমু। স্যারেরা আমারে অনেক আদর করছে। বালা খাওন দিছে। বাড়ীতে গেলে আবার আমারে মারবো ‘মা’। আব্বা কিছু কয় না। আর বাড়ীতে যামু না।”
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, গত তিন দিন ধরে মা হারা নয় বছরের শিশু সায়েম আমার কাছে রয়েছে। তার বাবাকে সংবাদ দিলেও সে আসছে না তাকে গিয়ে বললে বাড়ি থেকে চলে যায়। সৎ মা’র অত্যাচারে শিশুটি চার বছর থেকে রাস্তায় ঘুরছে। ঈদের দিনও আমাদের সাথে আনন্দ করেছে। এসপি স্যার’র সাথে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।