ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । কাকডাকা ভোরে ঘুম।

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাশিয়ানী। কাকডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে পশুকে কোরবানি করার জন্য গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া গোসলের পর জামাকাপড় পরিধান করে এবং আতর-সুগন্ধি মেখে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে এবং মাস্ক পরিধান করে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
মসজিদের ইমাম খুতবা পড়ার সময় কীভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কীভাবে বিলিবণ্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। এ ছাড়া বয়ানে মহামারি করোনাভাইরাস ও চলমান বন্যা থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান। নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশের মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোলাকুলি করেননি মুসল্লিরা। নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী মসজিদে ও মাদ্রাসা আজ সর্বমোট একটা করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী তে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, সব মসজিদে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নামাজ শেষ হয়। এরপর চলে পশু কোরবানি। গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী প্রতিটি কেউ কেউ নিজ বাড়িতে ও অলিগলিতে গরু জবাই শুরু হয়। কাশিয়ানী এলাকার বাসিন্দা ‘সকাল ৭টায় নামাজ শেষে গরু জবাই করেছি। এখন মাংস বণ্টন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।’ একইভাবে কাশিয়ানী সব এলাকায় গরু জবাইয়ের চিত্র দেখা যায়।