আজ খুলে দেওয়া হবে দেশের তৃতীয় ভাসমান সেতু।

 প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২০, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন   |   কাশিয়ানী



স্টাফ রিপোর্টারঃ রুবেল মোল্যা,

কাশিয়ানী গোপালগঞ্জ ;


ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের টিটা মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত দেশের তৃতীয় ভাসমান সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার বিকেল থেকে সেতুটি দিয়ে সবাই যাতায়াত করতে পারবে।


এলাকাবাসীর বহু প্রত্যাশিত ভাসমান এ সেতুটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।


এ বিষয়ে টগরবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সেতু নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা ইমাম হাচান (শিপন) বার্তা বাজারকে জানান, ‘ইতোমধ্যে ভাসমান সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে গণজমায়েত নিষিদ্ধ। এই কারণে জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আর অপেক্ষা না করে আজ থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সেতুটি।’



 

এদিকে সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এমন খবরে ওই এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।


ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, মধুমতি নদীতে আগে খেয়া ঘাট ছিল। তাদের নৌকা দিয়ে অনেক কষ্ট করে নদী পারাপার হতে হতো। এখন সেতু খুলে দিলে তাদের আজন্ম দুর্ভোগ লাঘব হবে।


প্রসঙ্গত, টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা, টিটা-পানাইল, রায়ের পানাইল, শিকরপুর, ইকড়াইল ও কুমুরতিয়া গ্রামের চারপাশে মধুমতি নদী বেষ্টিত থাকার কারণে গ্রামগুলো মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওই ৬ গ্রামে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। বংশ পরমপরায় তাদের বছরের পর বছর নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। অনেক সময় বৈরী আবহাওয়ায় রুদ্ধ হয়ে যায় যাতায়াতের এ মাধ্যমও। এতে অনেক সময় মুমূর্ষ রোগী কিংবা জরুরি কাজে অন্যত্র যাওয়া মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এই আজন্ম দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেতে ওই এলাকার ৭০ জন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ৭০ লাখ টাকা দিয়ে তহবিল গঠন করে নির্মাণ করছে ভাসমান সেতুটি। প্লাস্টিকের ব্যারেল আর স্টিলের পাত দিয়ে ভাসমান এ সেতুটি তৈরী করা হয়েছে। ৯০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থ সেতুটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮৫২ টি প্লাস্টিকের ড্রাম ও ৬০ টন লোহা। পরে দুই পারে কংক্রিটের সংযোগ সেতুর সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ভাসমান কাঠামোটিকে।

কাশিয়ানী এর আরও খবর: