গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে করোনা উপসর্গে নিহত এক নারী

স্টাফ রিপোর্টারঃ হাফিজুর রহমান
গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীর বুথপাশা গ্রামে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ছানিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে। জেলায় গত ৩ দিনে করোনা ভাইরাসে এক পুলিশ সদস্য ও এক দম্পতিসহ চারজন শনাক্ত হওয়ায় ৬টি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া মুকসুদপুর থানার ওসিসহ প্রায় শতাধিক পুলিশ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
রোববার সকালে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন কাশিয়ানী উপজেলার ইউএনও মো. সাব্বির হোসেন।
তিনি জানান: কাশিয়ানী উপজেলার বুথপাশা গ্রামের কুটি মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
গত ৯ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে প্রথম শনাক্ত হন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গাঁ গ্রামের মল্লিকেরমাঠ এলাকার এক দম্পতি।
গত ৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে তারা শ্বশুর বাড়ী মাদারীপুরের কালকিনি হয়ে নিজ গ্রামের বাড়ী টুঙ্গিপাড়ায় আসার পর ৮ এপ্রিল তাদের নমুনা পরিক্ষা করা হলে ৯ এপ্রিল তাদের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
এরপর ১০ এপ্রিল রাতে মুকসুদপুর থানা পুলিশের এক সদস্য করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায়। সে মানিকগঞ্জে বেড়াতে গিয়ে বাড়ি থেকে জ্বর নিয়ে কর্মস্থল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় যোগ দিলে নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।
অন্যদিকে গতকাল শনিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুরে আরও এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জন। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আতংকগ্রস্থ মানুষ নিজ নিজ উদ্যোগে এলাকায় প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা এলাকায় এখন অঘোষিত লকডাউনে পরিণত হয়েছে।