শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

 প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন   |   খুলনা


শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক 


মনা,বেনাপোল (শার্শা) প্রতিনিধিঃ শার্শা উপজেলার ৬নং গোগা ইউনিয়ানে নৌকার দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ দলীয় নৌকা প্রার্থী ঘোষণা পাওয়ার পর তার সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তবিবর রহমান মেম্বারের সমর্থকদের উপর এক সন্ত্রাসী হামলা চালালায়


শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সময় তবিবর রহমান ঢাকা থেকে বাগআঁচড়ায় ফিরলে তাকে আনতে তার সমর্থকেরা গোগা বাজার অতিক্রম করা কালীন চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের সমর্থকেরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এই হামলায় তবিবর রহমানের প্রায় ৫০ জন সমর্থক আহত হয়।যার মধ্য ১৩ জন আশংকাজনক।


এলাকাবাসীরা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিরাজ করছিলো। তারই ধারাবাহিতায় গতকাল ২২শে অক্টোবর নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীতা ঘোষণা হলে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আব্দুর রশিদে চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা তবিবর মেম্বারের লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে। তার ফলশ্রুতিতে আজ এই হামলা হয়।


সরেজমিনে তবিবর মেম্বারের বাসা অগ্রভুলোটে গেলে দেখা যায়, আহত এবং আহত ব্যক্তিদের আর্তনাদে এলাকার বাতাসে শোকের মাতম বিরাজ করছে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তবিবর রহমান মেম্বার ঢাকা থেকে বাগআঁচড়া আসলে তাকে বাড়িতে আনতে তার সমার্থকেরা যাওয়ার পথে গোগা বাজার পৌছালে প্রায় ২০০-৩০০ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তাদের উপর হামলা চালায়। এই হামলায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


গুরুত্বর আহতরা হলেন, তরিকুল, কাসেম, রানা, আলী, সিরাজ, বাবুল, আহম্মেদ আলী, মুজাম, ইমরান, শহিদুল, লিয়াকত, শিমুল, ও শাহআলম সহ আরো অনেকে।


সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে, তবিবর রহমান মেম্বার বলেন, আসলে এলাকায় আব্দুর রশিদের কোন জনপ্রিয়তা নেই। আমি নমিনেশন না পাওয়ায় সে আমার কর্মীদের উপর হামলা করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট করতে চাইছে। আমি এ ঘটনায় এম পি শেখ আফিল উদ্দিন সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী করছি।


এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত লিয়াকত, শহিদুল, কাসেম সহ কয়েকজন বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলার মূলহোতা ছিলো আব্দল রশিদ চেয়ারম্যানের তিন ছেলে সম্রাট, সুমন, অমিত সহ মিজান, কুদ্দুস, ওহাব, জসিম, ফারুক, নাজিম, মাহাবুর, সবুজ, সান্টু, আলা, মনির, ইব্রাহীম, কামাল, দেলোয়ার, রায়হান, হায়দার, ইদ্রিস, ফরজ, আহাদ সহ আরো অনেকে।


এবিষয়ে শার্শা থানার (ওসি) বদরুল আলম খান হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও বিষয়টি শুনেছি এবং ঐস্থানে আমাদের টিম সকাল থেকেই ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এবিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।


চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের কাছে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন ঢাকা আছি। মারামারির ঘটনাটি আমি শুনেছি, মূলত তবিবর মেম্বারের লোকজন আমার লোকের সাথে ঝামেলা করলে গ্যানজামটি বাধে। এতে দুপক্ষের লোকজনই আমি আহত হয়েছে। আমি থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমি এলাকায় এসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করবো।

খুলনা এর আরও খবর: