ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করে বাবার বিষপান।
স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করে বাবার বিষপান।
নিজস্ব প্রতিনিধি।
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বাবা। পরে বিষ খাওয়া অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতালে। রোবরাব রাতে কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১০ বছর বয়সী নিহত রনি খৈয়ারভাঙ্গা এতিমখানা থেকে লেখাপড়া করতো।
স্বজনরা জানায়, সম্প্রতি মাদারীপুরের কালকিনির গোপালপুরের তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী মিনারা একই এলাকার চা বিক্রেতা আব্দুর রশিদের সাথে পরকীয়ায় সম্পর্ক গড়ে দেড় মাস আগে মিনারা, রশিদের সাথে চলে যায়। পরে তোফাজ্জেলের মনের ভেতর শুরু হয় মানসিক যন্ত্রনা। লোকলজ্জার ভয়ে ছেলে ও নিজেকে পথিবী থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তোফাজ্জেল। সেই অনুযায়ী রোববার রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে রনিকে গলাকেটে হত্যা করে বলে জানান পরিবারের লোকজন। পরে সে বিষ পান করে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহত রনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদেন্তর জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পাশাপাশি তোফাজ্জেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তোফাজ্জেলের শ্যালক আনোয়ার হোসেন বলেন, মিনারা পরকীয়ার কারনে চা বিক্রেতা রশিদের সাথে ঢাকায় চলে গেছে। পরে তোফাজ্জেল কষ্ট থেকে বাঁচতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, তোফাজ্জেলকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রথমে তার অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, অসুস্থ তোফাজ্জেল সুস্থ্য হবার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী অন্যত্র চলে যাবার কারনের মানসিক যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে ছেলে হত্যা করে তোফাজ্জেল। পরে সে বিষপান করে।
