বন্যার পানি নেমে গেলেও রেখে গেছে রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন।

মো আরিফুর রহমান অরি, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ভয়াবহ বন্যার পানি নেমে গেলেও ভেসে উঠেছে বসতবাড়ী ও রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন।
চলতি বন্যার তীব্র স্রোতে হরগজ- দড়গ্রাম- শিমুলিয়া সড়কের আমার রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। এতে সাটুরিয়া উপজেরার অন্যতম প্রধান হরগজ গ্রামের সাথে দড়গ্রাম ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বের) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরগজ গ্রামের সাথে দরগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলিয়া কাচা সড়কটি বিল্লাল মিয়ার বাড়ির সামনে বন্যার পানির তিব্র স্রোতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয়রা টাকা উঠিয়ে একটি বাশের সাকে নির্মাণ করেছেন। এতে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বাশের সাঁকো দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে । কিন্তু রিক্সা, ভ্যান, মটরসাইকেল, অটো ট্যাম্পু চলাচল বন্ধ আছে।
একই গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, হরগজ গ্রামের জেলার বিক্ষাত গরুর হাট বসে রবিবার। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের ১০ কিলোমিটার ঘুরে গরুর হাটে যেতে হয়।
হরগজ শিমুলিয়া গ্রামের আবিদ আলী বলেন, আমাদের হরগজ- দরগ্রাম- শিমুলিয়া সড়কটি অনেক পুরাতন। সড়কটি কাচা হলেও অনেক গরুত্বপূর্ণ। এ সড়কটি দুই ইউনিয়নের সেতু বন্ধন। কাছাকাছি দুইটি বাজার, একটি গরুর হাট, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। ফলে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
গ্রামের আরব আলী বলেন, আমাদের হরগজ গ্রামে বিভিন্ন সবজিসহ বিভিন্ন ফষল উৎপাদন হয়ে থাকে। আমাদের বাড়িটি পড়েছে হরগজ শেষ মাথায়। ফলে আমাদের হরগজ বাজার ও দরগ্রামের উভয় বাজারে যেতে হয়। কিন্তু বাশের সাঁকো থাকায় আমরা শুধু পায়ে হেটে চলাচল করতে পারছি । কিন্তু কোন পণ্য ভ্যান বা রিক্সা করে নিতে পারছি না।আর এ উপজেলায় হঠাৎ করে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া টা হিমশিম খেতে হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে হরগজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, বন্যার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। বাশের সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। বন্যার পানি সম্পুর্ণ নেমে গেলে সড়কটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।