রংপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আজিজুল হক

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রবীণ শিক্ষক আজিজুল হক। পরিচ্ছন্ন ও বিনয়ী এই রাজনীতিবিদের জনপ্রিয়তা দিন দিন তুঙ্গে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করা আজিজুল হক বদরগঞ্জ মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন। রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতা দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি এলাকার বিএনপি কর্মী তাজউদ্দিন বলেন, “আজিজুল হক একজন ত্যাগী নেতা। আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। রংপুর-২ আসনে তার বিকল্প নেই।”
উপজেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, “দলের দুঃসময়ে আজিজুল হক একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। ত্যাগী এই নেতার মনোনয়ন পাওয়া উচিত। তিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ।”
মধুপুর ইউনিয়নের এক নেতা বলেন, “আজিজুল হক সবসময় কর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনিই আমাদের আশার প্রতীক।”
গত তিন দিনে বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারণের মুখে মুখে আজিজুল হকের নাম। হাঁড়িয়াকুঠি, ডাক্তার পাড়া, কাশীয়াবাড়ী, মেনানগর, রহিমাপুর, পাঠানের হাট, বানুয়াপাড়া, সর্দারপাড়া, কালিরডাঙ্গা, চম্পাতলী, শেখেরহাট ও কুতুবপুরসহ অসংখ্য এলাকায় বিএনপি কর্মীদের একটাই দাবি—আজিজুল হক যেন দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পান।
বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে যিনি নেতৃত্বে ছিলেন, কর্মীদের সংগঠিত করেছেন—সেই আজিজুল হকই এই আসনের একমাত্র যোগ্য প্রার্থী।”
মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুল হক বলেন, “আমি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। জুলুম-নিপীড়নের শিকার হয়েছি। এখন সময় এসেছে, এই ত্যাগের মূল্যায়ন করার। আমি রংপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।”