গুইমারায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলেন ইউএনওর সহধর্মিণী ও বড় ভাই

 প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ




দিদারুল আলম,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:


সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন।’-এ স্লোগান সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীর সহধর্মিণী ও তাঁর বড় ভাই। 


পেনশন স্কিমের বিষয়ে গুইমারাবাসীকে সুস্পষ্ট বার্তা ও পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন বলে জানান। 


এসময় নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের এই শুভ উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য গুইমারার সকল স্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনিঁ।


বৃহস্পতিবার (৫ইমে ২৪)সকালে গুইমারা সোনালী ব্যাংক পিএলসি কার্যালয়ে তিনি তার সহধর্মিণী ও বড় ভাইকে নিয়ে পনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করান।


বাজারের চাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন,পেনশন স্কিম নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছিলাম, তবে সঙ্কায় ছিলাম করবো কিনা। ইউএনওর পরিবার ও বড় ভাই করার কারনে আনার সঙ্কা কেটে গেছে। আজকে আমিও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গুইমারা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে পেনশন স্কিম করেছি।


এবিষয়ে গুইমারা সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক এরফানুল হক বেলাল হোসাইনী বলেন,দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করে।গুইমারার মানুষ যাতে সরকারের এই উদ্যোগে স্বপূর্তভাবে অংশ গ্রহন করে এই লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী সকালে এসে উনার সহধর্মিণী ও বড়ভাইকে এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করান। ইউএনওর সহধর্মিনী ও বড়ভাইয়ের পেনশন স্কিমে টাকা জমা হয়েছে। 


গুইমারা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা বলেন,ইউএনওর উৎসাহ অনুপ্রেরনায় অনেকে এই পেনশন স্কিমে ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।তিনি নিজেও পেনশন স্কিম করেছেন।সাধারণ মানুষ যাতে শেষ বয়সে পরনির্ভরশীল হতে না হয় এ লক্ষে সরকার এনপেনশন স্কিমের কার্যক্রম চালু করেছেন।


সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে গুইমারা সকল জনগনকে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।


ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বজনীন পেনশনের বিকল্প নেই। কর্মজীবন শেষে নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।এ পেনশন চালু হওয়ায় কাউকে চেষ বয়সে সন্তানদের ওপর নির্ভর হতে হবে না। যেতে হবে না বৃদ্ধাশ্রমেও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করেই সর্বজনীন পেনশন চালু করেছেন সরকার। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করা হয়েছে।সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে তাই শতভাগ নিরাপদএ কারনে আমাদের প্রত্যেকের উচিত, চারটি পর্যায়ের যেকোনো একটি পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসা। সেই সঙ্গে তিনি প্রত্যেককে এ পেনশনের আওতায় আসার আহ্বান জানিয়ে ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী চাঁদাদাতার মাসিক চাঁদার ৫০% সরকার অনুদান হিসেবে প্রদান করবে। নতুন অর্থ-বছরে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও করপোরেশনের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন দেয়া হবে। মাসিক পেনশনবাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।জমানো টাকায় মিলবে ৫০% ঋণ।৬০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে আজীবন পেনশন পাওয়া যাবে।


 দিদারুল আলম,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:


০১৫৫৬৬০৫৫৫২

সারাদেশ এর আরও খবর: