সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় থামছে না বাল্য বিবাহ।

মোঃ আলামিন হোসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
বাল্য বিবাহ কীভাবে নারীর শৈশব-কৈশোর আর স্বপ্নময়তার দিনগুলোকে কেড়ে নেয়, কী অমানবিক মাপজোক করে ঠিক করে দেয় তার চোখের দৃষ্টিসীমানা, গভীর কালো এক পর্দা টেনে দেয় মনের আকাশটাতে, আর সব মিলিয়ে বিষয়টিকে যখন সামগ্রিক রাষ্ট্র আর সামাজিকতার প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা হয়, তখন বিষয়টি দাঁড়ায় এক জাতীয় সমস্যা হয়ে, যার প্রতিকারে প্রয়োজন আশু পদক্ষেপ। যতোই সময় যাচ্ছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাল্যবিবাহ অত্যন্ত ভয়াবহ একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা ঘোষণা করা হলেও কোনো ক্রমেই বন্ধ করা যাচ্ছে না বাল্যবিবাহ। প্রতিদিন কোনো না কোনো উপজেলায় ঘটছে বাল্যবিবাহের মতো অনাকাঙ্খিক্ষত ঘটনা।
এমনটাই ঘটেছে কলারোয়ার ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের, উত্তর সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত জমাত আলীর মেয়ে ৮ম শ্রেনির ছাত্রি মোছা: শাহানারা খাতুন, ২২ই আগষ্ঠে যশোর জেলার শার্শা থানাধিন গাজিপুর গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে মো: হাবিবুর রহমান সাথে বিবাহ হয়। যার স্থায়ি ঠিকানা ৭ নং চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামে।
সরজমিনে গেলে বিবিএস নিউজ টিভির প্রতিনিধিকে হাতে নিকানামার কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেন ২০ দিন আগে আমার ছেলের বিবাহ হয়। মেয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়তো আসলে মেয়ের বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়নি আমার ছেলের চাপে পড়ে বিয়ে দিতে হয়ছে।
এই বিষয়ে হঠাৎ ছেলের ফুফাতো ভাই আসরাফুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে বলেন, বল্য বিবাহ‘র মতো অপরাধ সমাজে হয়েই থাকে, সমাজে এটি কোন অপরাধই না। আপনারা যা লেখার লেখেন, আমরা সব ম্যানেজ করে নেব।
মেয়ের বলেন, আমি সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনির ছাত্রি ছিলাম। আরো জানতে চাইলে বলেন আমার কয়েক বসর গ্যাব যাই বলে আমার বয়স ১৮ বসর।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বলেন, এই বিবাহ‘র বিষয়ে আমাদরে জানা নাই, আমরা জানলে অবষ্যই এর ব্যবস্থা নেব। কারন বাল্য বিবাহ আইনের চোখে অনেক বড় অপরাধ।