শিরোমণি ক্যাবল শিল্পের সিবিএ কর্তৃক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।

 প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন   |   অপরাধ


 জিয়াউল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ

 খুলনার শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেডের বর্তমান ক্ষমতাসিন কর্মচারী ইউনিয়নের(রেজি. নং- ৮৮২) নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের কল্যাণ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ এবং আয়-ব্যায়ের হিসাব না দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ইউনিয়নের একজন সাধারণ সদস্য খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 অভিযোগ সুত্রে  জানাগেছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করলে অবসরকালীন সময়ে কিছুটা আর্থিক সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রায় ৩৫ বছর আগে বাকেশি  শ্রম কল্যাণ ট্রাষ্ট্রি ফান্ড নামের একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করে প্রতিষ্ঠানের সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়। যদি কোন কর্মচারী অবসরে যান তাহলে ঐ মাসে প্রতি কর্মচারীর নিকট থেকে ৬০টাকা করে কর্তন করে ব্যাংকে জমা করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নির্বাচনে বর্তমান সিবিএ নেতৃবৃন্দকে ঐ ফান্ডে ৯৬ হাজার ৮৬৯ টাকা  বুঝিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তি এবং মৃত্যুবরণ করেছে এমন কয়েকজন পরিবার এই কল্যাণ ফান্ডের টাকা নিতে না আসায় ব্যাংক ইন্টারেস্ট সহ বেশ কিছু টাকা একাউন্টে জমা হয়। বর্তমান সিবিএ’র সভাপতি আঃ কাদের ও সাধারণ সম্পাদক বেগ কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরে ২০১৯ সালের ২ জুলাই ১০ হাজার টাকা, ৭ জুলাই ৫০ হাজার টাকা এবং ৭ অক্টোবর ৯ হাজার টাকা তিন কিস্তিতে ব্যাংক থেকে মোট ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজেরা আত্মসাৎ করেছে বলে মোড়ল মুজিবর নামের এক সদস্য অভিযোগ করেছে । 

এছাড়া ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ প্রতি বছর  একটি বার্ষিক  সাধারণ সভার মাধ্যমে সংগঠনের সকল আয়-ব্যায়ের হিসাব উপস্থাপনের কথা থাকলেও বর্তমান সিবিএ ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অদ্যবধি দুই বছর যাবত কোন এজিএম বা একটিও সাধারণ সভা করেনি। এমনকি আয়-ব্যায়ের কোন হিসাবেও এ পর্যন্ত দাখিল করেনি। সংগঠনের পরিপস্থি কার্যকালাপ এবং অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি তদন্তপুর্বক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের দপ্তরে গত ২০ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিবিএ’র সভাপতি আব্দুল কাদের খান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো এড়িয়ে গিয়ে বলেন ফ্যাক্টরীর মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগের জহির ও উৎপাদন বিভাগের মির্জা শাহজাহানের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সেক্রেটারী বেগ কামরুলের ড্রয়ারে রাখা আছে। যাদের টাকা তারা  আজ আসে কাল আসে করে না আসায় দেওয়া হয়নি। যাদের টাকা তাদের নামে চেক না দিয়ে নিজেরা কেন টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন এবং উত্তোলন করে এক বছর কেন ড্রায়ারে টাকা রেখে দিলেন না এর কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে সেক্রেটারী। দুই বছর যাবত সাধারণ সভা বা আয়-ব্যায়ের হিসাব না দেওয়ার বিষয়ে তিনি নিজের কিছু সমস্যা এবং করোনাভাইরাসের প্রার্দূভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন আসন্ন নির্বাচনের জন্য বিরোধী পার্টি তাদের বিরুদ্ধে সুযোগ খুজে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এ ব্যাপারে শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন একটি অভিযোগ এসেছে কিন্তু  জরুরী কাজে আমি খুলনার বাইরে ব্যস্ত থাকায় এটি দেখতে পারিনি। আগমী মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ফিরে অভিযোগটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।

অপরাধ এর আরও খবর: