বেনাপোলে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, অনিয়মের অভিযোগ

মনা,বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ

  যশোর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারতগামী যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন

ভারতের কলকাতার সঙ্গে বেনাপোলের দূরত্ব কম হওয়ায় যাত্রীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলপথে যাতায়াতে করেন বেশি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশের যাত্রীরা সহজে বেনাপোল আসতে পারছেন এবং দু’ দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন। ঈদের ছুটি কাটাতে, চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা বা স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে গেছেন অনেকে। ঈদে যাত্রী যাতায়াত বেড়ে গেছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল দীর্ঘ লাইন লেগে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩ দিনে প্রায় ২২ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে। ঈদের পরে চিকিৎসা, দর্শনীয় স্পটে ভ্রমণ, স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা, কেনাকাটা শেষে হাজার হাজার যাত্রী ভারতে থেকে দেশে ফিরছেন। 

দেশে ফেরা যাত্রীরা জানান, বেনাপোলের ওপারে নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় যাত্রীদের হয়রানি বেড়েছে কয়েকগুণ। ভারতীয় অংশে গেটে পাসপোর্ট চেকিংয়ে ধীরগতি এবং প্রবেশের একটি গেট হওয়ায় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে। রোদ, বৃষ্টি ও গরমে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশনে ধীরগতির কারণে নো-ম্যাস ল্যান্ডে রাত ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীদের। 

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদের ছুটির কাটিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের পারাপার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ১৪টি ডেস্কে কাজ চলছে এবং জনবল বাড়ানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশের সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমসসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও যাত্রী পারাপার কাজে সহযোগিতা করছেন। বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ যাত্রী হয়রানি কমাতে বন্দরেরর বাইরে কাজ করছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য এসির মধ্যে বসা, খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের বসার সু-ব্যবস্থার জন্য বন্দরের ২য় তলায় ৫০ টাকা নিয়ে এসির মধ্যে বসানো হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী সেখানে যাচ্ছে না। যাত্রী হয়রানি কমাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দালালমুক্ত করা হয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন।