আমতলীতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অপহরন মামলা

 প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর


মোঃ ইমরান হোসাইন,আমতলী বরগুনা প্রতিনিধি,


বরগুনার আমতলীতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে অপহরনে মামলা করেছেন উপজেলার পূর্ব চুনাখালী গ্রাসের আল আমিনের স্ত্রী মোসাম্মত লিপী বেগম।


স্থানীয়রা বলছে সাজানো নাটক। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।



আঠারোগাছিয়া গ্রামের মৃত মোতাহার এর ছেলে আল আমিন হাওলাদার (৩৫) গত ৯ বছর ধরে ঢাকার মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কয়রাখোলা, খাসমহল বালুচর এলাকায় মেসার্স আল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামক ইটভাটায় শ্রমিক সর্দার হিসেবে লেবার সরবরাহ করে আসছে। ইট বানানোর জন্য ও লেবার সরবরাহ করার জন্য ইট ভাটার মালিক হাজি মো: মনির এর নিকট থেকে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে আট লক্ষ টাকা ও নগদ সাত লক্ষ টাকা মোট পনের লক্ষ টাকা গ্রহন করে। টিসা এন্টারপ্রাইজ নামক ইট ভাটা থেকে আট লক্ষ টাকা দাদন আনেন। আল আমিন যথাসময়ে ইট ভাটায় লেবার সরবরাহ না করে উল্লেখিত টাকা আত্মসাত করে। মেসার্স আল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিক টাকা ফেরত চাইলে আল আমিন ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্টাম্প এ গত ০২/১০/২০২২ ইং তারিখ সমুদয় টাকা ফেরত দিবে মর্মে অঙ্গীকার নামায় সই করেন। ইট ভাটার মালিকদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আল আমিন গা ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকা বাসী জানায়।



এ ঘটনার ব্যাপারে চৌকিদার রিপন বলেন, আল আমিন অপহরন হয়েছে এমন কোন ঘটনা শুনিনি ।ইউ পি সদস্য লিয়াকত হোসেন বলেন অপহরনের কোন ঘটনা আমি শুনিনি তবে মামলা হয়েছে তা পওে শুনেছি। আল আমিনের স্ত্রী লিপি বেগম মামলা করেছে তা শুনেছি। সরেজমিনে গিযে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মামলায় উল্লেখিত সময়ে মহিষকাটা বাজারে ব্যাপক লোক সমাগম ছিল। অপহরনের কোন ঘটনা বাস স্টান্ড বা বাজারেও ঘটেনি।



উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর্যন্ত মহিষকাটা বাসস্টান্ড ও বাজার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের মাঝেও বিরোধ রয়েছে । দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দেও কারনে এক পক্ষ আর এাক পক্ষকে ঘায়েল করতে আল আমিনের স্ত্রী লিপি বেগম কে দিয়ে বিরোধি পক্ষ মামলা করিয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবী করছে। আল আমিনের স্ত্রী গত ২৭ অক্টোবর আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাকির হোসেন চৌকিদারকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ওসি একেএম মিজানুর রহমান মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে বরগুনা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।



মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস,আই কবির হোসেন বলেন, অপহৃত আল আমিনকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

জেলার খবর এর আরও খবর: