নড়াইলে নিজের গায়ে এসিড ঢেলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পায়তারা করছেন এক গৃহবধু-আটক৩াপ্রকাশ।

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০২০, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন   |   খুলনা


নড়াইল প্রতিনিধি সাথী তালুকদার 

নড়াইলে নিজের গায়ে এসিড ঢেলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পায়তারা করছেন এক গৃহবধু। ওই গৃহবধুর নাম তানিয়া বেগম (২৭)। তিনি নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন বাহিরগ্রামের মৃত গোলাপ মোল্যার মেয়ে।


থানায় দায়েরকৃত মামলা ও সরোজমিনে প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়ঃ তানিয়া একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির নারী, সুদে ব্যবসাই তার মূল পেশা। এ ছাড়াও মিথ্যা হয়রানি মুলক হামলা মামলা ও সালিশ নালিশ করে অর্থ আদায়ের বিস্তর অভীযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।বিভিন্নভাবে মানুষকে ফাঁসিয়ে তাদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 


এলাকার মানুষ তাঁর সুদে কারবার ও মিথ্যা হামলা মামলা করায় বিক্ষুদ্ধ, তাঁরা তানিয়াকে প্রথম থেকেই নিবৃত করার চেষ্টাকরে। তানিয়ার এ সকল অপকর্মে বিরোধিতা কারিদের শায়েস্তায় মিশন নিয়ে মাঠেনামে। তাঁর নিজস্ব বাহিনী দ্বারা ব্যার্থ হয়। সম্প্রতি একই গ্রামের নিরীহ বিরধিতাকারি প্রতিবাদি যুবক জুয়েল মোল্যাকে টার্গেট করে। তানিয়ার প্রচার করে তাঁর  নিকট থেকে জুয়েল টাকা ধার নিয়ে দিচ্ছে না বলে!? এছাড়াও জুয়েল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগও করে থানায়। এতো কিছুর পরও তাকে ফাঁসাতে না পেরে ভিন্ন পথে পা বাড়ান ছলনাময়ী নারী তানিয়া।


গত ১৩ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় জুয়েল ও তার স্বজনরা তাকে এসিড ছোঁড়ার হুমকি দিচ্ছে মর্মে একটি মিথ্যা সাধারণ ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন। এরপর মিথ্যা জিডিকে নাটকীয় পরিবেশে আনার জন্য ১৭ আগস্ট রাতের অন্ধকারে মৃদু এসিডযুক্ত ব্যাটারির পানি নিজের শরীরে ঢেলে দিয়ে নিরীহ যুবক জুয়েল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।


এ ঘটনার পর তানিয়ার বড় বোন মিনি বেগম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মামলা নং ০৯ তারিখ ১৮-০৯-২০২০ ধারা এসিড অপরাধ দমন আইন২০০২এর ৫/৭ধারা অর্থাত এসিড নিক্ষেপ করে আহত ও সহয়তা করা। এদিকে দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে তিনজনকে পুলিশ আটক করে হাজতে প্রেরন করেছে।


এ বিষয়ে বাহিরগ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, তানিয়া খুবই ধুরন্ধর এবং বেপরোয়া গোছের একজন ছলনাময়ী নারী। তার খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে গেছে। নিজের রূপ-সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে সে। তাছাড়াও লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ করে তার নিকট থেকে টাকা আদায় করে নেওয়া তার মূল পেশা। এ সকল অর্থ সে বিভিন্ন এলাকায় সু'দে কারবার বা সুদে ব্যাবসায় লাগায়। 


তানিয়ার চড়াসুদে, বহু নিরিহ মানুষকে সর্বশান্ত এমনকি ভিটামাটি ও এলাকা ছাড়া করার নজীর ও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। তা ছাড়াও এই সুদে তানিয়ার রয়েছে একটি পোষ্য সন্ত্রাসি বাহিনী! ষ্টাম্পে ও চেকের মাধ্যমে চড়াসুদে টাকা লগ্নিকরে অসহায় দায়গ্রস্থ্য মানুষকে। ডবল টাকা দেওয়ার পরেও তানিয়ে বসতভিটা ছাড়াকরে তাঁর নিজস্ব সন্ত্রাসি বাহিনী ও পোষ্য মাতব্বরদের দ্বারা।


ওই এলাকার ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, সম্প্রতি তানিয়া যে ঘটনার জন্ম দিয়েছে তা সম্পূর্ণ নাটকীয়। জুয়েল ও তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য সে নিজের গায়ে এসিড ঢেলে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জুয়েলের স্বজনরা জানায়, তানিয়া আমাদের শায়েস্তা করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করেছিল। কিন্তু তাতে কোনো ফল লাভ না হওয়ায় নিজেই নিজের গায়ে এসিড ঢেলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশি তদন্তে সঠিক তথ্য উঠে আসবে বলেও তারা ধারণা করছেন।

খুলনা এর আরও খবর: