যশোর শহরে ঈদের আগে তীব্র যানজট

আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব্যুরো প্রধান।।
যশোর শহরে কোরবানি ঈদের আগে বিভিন্ন শপিং মল ও ছোট-বড় বিপণি-বিতানে তেমন ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা ছিল অন্য সময়ের মতো। তবে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিকালের পর ১০ মিনিটের পথ পেরুতে বাইক চালকদের সময় লেগেছে আধা ঘণ্টা।
দিনভর শহরের অধিকাংশ সড়কে লেগেছিল যানজট। কুইন্স হাসপাতাল থেকে দড়াটানা, চিত্রা মোড় থেকে চৌরাস্তা মোড়, আরএন রোড থেকে নড়াইল বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তা থেকে রাসেল চত্বর (চারখাম্বা মোড়) এবং ঈদগাহ সংলগ্ন মুজিব সড়ক থেকে সার্কিট হাউস এবং জিলা স্কুল থেকে রেলগেট পর্যন্ত দিনভর ছিল যানজট। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, প্রাইভেটকার ও রিকশাসহ ছোট-বড় যানবাহনের সামাল দিতে হিমসিম খেতে যায় ট্রাফিক পুলিশের। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে দেখা যায় পায়ে হাঁটা মানুষের। ফুটপাত ও ড্রেনগুলোর ওপর আগেই গড়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যানজট হওয়ার এটা অন্যতম কারণ বলেছেন অনেকে।
জেলরোড এলাকার বাসিন্দা শরীফ আহমেদ জানান, কুইন্স হাসপাতাল থেকে মাইকপট্টি আসতে মোটরসাইকেলে লেগেছে টানা ২৫ মিনিট। যানজট না থাকলে এটুকু পথ পেরুতে লাগে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। রেলগেট এলাকার গ্রিল মিস্ত্রি তোতা মিয়া জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি ভ্যানে করে মাল পাঠান ষষ্ঠীতলাপাড়ায়। ৫ মিনিটের পথে তার সময় লাগে ৩০ মিনিট। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ ছিল কিন্তু ভয়াবহ যানজট পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় ছিল না।
যানজটের তীব্রতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে সচেতন মহলের দাবি, ফুটপাথ বেদখল হওয়া। এছাড়া যত্রযত্র গাড়ি পার্কিং ও ভ্যান-রিকশা এবং ইজিবাইকসহ ছোট-বড় যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেই পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের।
তবে যানজট তীব্র হওয়ার আরেকটি কারণের কথাও বলেছেন অনেকে। তাদের দাবি, এদিন ছিল ঈদের আগে শেষ অফিস। যেকারণে অনেকে আগে-ভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ কেনাকাটার কারণে শহরে যানজট বেশি ছিল। এছাড়া শেষ অফিস করে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এর ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হিমসিম খেতে হয়েছে।