ঘুষ ও ভোগান্তির আরেক নাম পাটুরিয়া ফেরিঘাট।

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১৯ অপরাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ


মো আরিফুর রহমান অরি, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

 মুন্সিগঞ্জের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট । সপ্তাহ খানেক ধরে নাব্য সংকটে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পারাপারের অন্যতম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট।


 


নৌরুটে মাত্র ১৬টি ফেরি দিয়ে যানাবহন পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। 

ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। নদী পারের অপেক্ষায় সড়কে দিনের পর দিন আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে চালক ও হেলপাররা।আবার সময়মতো মালামাল পরিবহন না করতে পেরে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।


 


সড়কে যানজট রোধে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত  গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাড় হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। ফলে  ট্রাকগুলোকে ফেরির নাগাল পেতে সময় লাগচ্ছে । দ্ইু তিন ধরে ট্রাক চালকরা আটকা পড়েছেন এই ঘাটে। ট্রাক চালকদের অভিযোগ অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে পাড়ের টিকিট।


 


শনিবার (9সেপ্টেম্বর)  সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটের যানবাহন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘাটের ৭ কিলোমিটার দূরে উথলী সংযোগ সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে রাখা হচ্ছে।সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নদী পারের অপেক্ষায় সড়কে দিনের পর দিন আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে চালক ও হেলপাররা। গোসল, খাওয়া-দাওয়া, বাথরুম সমস্যাসহ তারা নানান সমস্যা পোহাচ্ছে। 


ট্রাক চালক রহিম নামের একজন জানানঃ, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। এখানে থাকা, খাওয়া, গোসল, বাথরুমসহ কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। রাস্তায় দিনের পর দিন আটকে থাকতে হচ্ছে। অনেক দূরে গিয়ে গোসল, খাওয়া-দাওয়া, বাথরুম করে আসতে হয়। খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করতে হচ্ছে তাদের। অনেক সময় তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র চোরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ।


ট্রাক চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কাঁঠালবাড়ি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের নাব্যতা সংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ট্রাক চালকদের ভোগান্তি হচ্ছে। ওই নৌরুট সচল হলে ট্রাক চালকদের এসব ভোগান্তি দূর হবে। তবে ফেরি বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তিনি আরো জানান, গত ৫ দিন ধরে নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। ডুবোচরের কারণে ফেরি গুলোকে অনেকটা ঘুরে অন্য পথ দিয়ে যেতে হয়।

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: