ভূঞাপুরে ভাঙনের কবলে মসজিদ এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম।

মুহাইমুনিল (হৃদয়)ঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় যমুনার পূর্ব পাড়ে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া,খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া গ্রামে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়, মন্দিরসহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘরবাড়ি। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া আকস্মিক ভাঙনে অনেকটাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে লোকজন। ভালকুটিয়া জামে মসজিদ রক্ষায় এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরে নদীতে ফেলছে।
স্থানীয় রফিকুল ভূঁইয়া জানান, ভালকুটিয়া মসজিদের সামনে হঠাৎ নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে ভাঙন রোধে নদীতে বস্তা ফেলা হচ্ছে। করোনায় তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এর মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন করে নদী ভাঙন। তাদের এই দুর্দশা দেখার যেন কেউ নাই।
স্থানিয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে বাঁধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রুপ নিচ্ছে না। নেওয়া হচ্ছে না ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা। এলাকায় কোন প্রভাবশালী কোন জনপ্রতিনিধি না থাকায় এমন দুর্ভোগে থাকতে হচ্ছে তাদের। মূলত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রোকশলিদের দায়িত্বহীনতার কারনেই নদীতে বিলিন হওয়ার শংকায় এই বাড়ি ঘর।নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর দাবি, অতি দ্রুত নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হোক।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন,অতি দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত যমুনা নদী গোবিন্দাসী থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। গেল কয়েক বছরের ভাঙনের ফলে ঘর -বাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত হচ্ছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। নদী হতে অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙন আতংকে আছে বেশ কয়েকটি মসজিদ,বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মন্দির সহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘর -বাড়ি।