মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হোলেন আশরাফ আলী (আশু মিয়া)

 প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০২২, ০৯:১৪ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি


বঙ্গবন্ধু নীতি ও আদর্শের একজন "আশু মিয়া"

স্কুল জীবন থেকেই আশরাফ আলী (আশু)মিয়া- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'র প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা তৈরি হয়। ১৯৬৪ সালে বানেশ্বরদী উচ্চ বিদ‍্যালয় থেকে এস, এস সি পাশ করেন, পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ মহকুমাস্থ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্না (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ওই সময়ই ছাত্র রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন। 

 বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেম ও ভালবাসার কথা প্রচার  করতে গিয়ে অনেকবার জেল জুলুম সহ-নির্যাতিত হয়েছেন এই আশু মিয়া। তারপর মহারাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলনের জন্য নগরকান্দা ও মুকসুদপুরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেম্বারদের পাকিস্থান গভমেন্ট নন কো-অপারেশন মুভমেন্ট বা অসহযোগ আন্দোলনে) সরকারের প্রতি অনাস্থা কাগজে সই স্বাক্ষর নেন গ্রামে গ্রামে হাটবাজারে। সত্তরের নির্বাচনে আশু মিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'কে বনগ্রাম মাঠে নিয়ে আসেন এবং সেখানে বিশাল নির্বাচনী জনসভা করেন, এবং সেই থেকেই বনগ্রাম বাজার মাঠের নামকরণ করা হয় - বনগ্রাম বাজার বঙ্গবন্ধু মাঠ।


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ- আশরাফ আলী (আশু) মিয়া  মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি যুদ্ধকরার পাশাপাশি ৩টি ক‍্যাম্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন (বনগ্রাম ভৌমিক বাড়ি, মহারাজপুর বোস বাড়ি, ও নারায়নপুর মন্দি বাড়ি), ১৯৭৩ সালে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ৭৫ এ জাতির জনককে স্ব-পরিবারে হত্যার পরে -তিনি এই হত‍্যার বিচারের দাবিতে মকসুদপুর উপজেলায় আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরণ করেছিলেন। এরপরে মুকসুদপুর আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক কাউন্সিল হয় জলিরপাড়ে, সেই কাউন্সিলে তাকে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ের সম্মেলনের মাধ‍্যমে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে দলকে সুসংগঠিত করে সফলভাবে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ৮৯-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে -আশু মিয়ার নেতৃত্বে মকসুদপুর উপজেলায় আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং  সেখানেও কারাবরণ করতে হয় তাকে, যাহা- সয়ং জননেত্রী শেখ হাসিনা অবগত আছেন। 

 জিয়া-এরশাদ সরকারের আমলে বহুবার কারাবরণ করেছেন একজন আশু মিয়া। মঞ্জু খা  মহাব্বত জান চোধরী ও এরশাদ এর টাকা পয়শা আর গাড়ি-বাড়ির লোভের কাছে মাথা নত হননি তথা- আওয়ামী লীগ থেকে বিচ‍্যুত করতে পারে নি এই আশু মিয়াকে কখনো। বর্তমান -উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন সততা- নিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধু নীতিতে অটল থেকে, ১৯৭১ সালে মহারাজপুর ইউনিয়নের সিভিল এ্যাডমিনিস্টিটর, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সন পর্যন্ত রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান (আরআরসি) এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সন পর্যন্ত  মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে ছিলেন। তখন ১৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থেকে ১৬ জন চেয়ারম্যানই জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন, শুধু একমাত্র আশু মিয়া'কেই মাথা নত করাতে পারেন নি।

  

২০১৬ সালে  মহারাজপুর ইউ,পি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটের ব‍্যাবধানে জয় লাভ হয়ে- জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও মুকসুদপুর - কাশিয়ানীর অভিভাবক মুহাম্মদ ফারুক খান মহোদ্বয়ের সহযোগীতায় মহারাজপুর ইউনিয়নের ব‍্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। 

আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সাঃসম্পাদক(১৯৭৫-------২০০৩) বর্তমান সিঃ সহ সভাপতি বীর মক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী (আশু) মিয়া' বলেন প্রিয় নেতা মোহাম্মদ  ফারুক খানের নেতৃত্বে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দলীয় সমর্থন পেলে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। সেই সাথে সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।

রাজনীতি এর আরও খবর: