আমতলীতে ২৬ মন সামুদ্রিক মাছ জব্দ, নিলামে বিক্রি!

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে নিষিদ্ধকালিন সময়ে মৎস্য আহরণ ও বিক্রির জন্য গোপনে অন্যাত্র পাচার করার সময় ২৬ মন সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেন আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিস। পরে উপজেলা প্রশাসন ওই মাছ নিলামে বিক্রি করে।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, জব্দকৃত মাছগুলো চোরাইপথে বাসযোগে তালতলী থেকে আমতলী হয়ে ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছিল।
জব্দকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ২৬ মন সামুদ্রিক মাছের মধ্যে থেকে ২২০ কেজি মাছ নিলামে ৭৬ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি মাছ আমতলীর বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
সোমবার গভীর রাতে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিস গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিষিদ্ধকালিন সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে তা একাধিক প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে একটি পরিবহন বাসে করে ঢাকায় পাচার করার সময় অভিযান পরিচালনা করে তা জব্দ করেন।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাস জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্র থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করে তালতলী থেকে ঢাকাগামী মিজান পরিবহনে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে। সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমতলী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিকঝুড়ি নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকাগামী ওই পরিবহন বাসটি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করি। জব্দকৃত মাছের মধ্যে ছিলো ইলিশ, সাদা চিংড়ি, লইট্টা, ভুলা, টাইগার।
পরে আমতলী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সামুদ্রিক মৎস্য আইনের আওতায় জব্দকৃত মাছগুলো নিলামে তোলা হয়। ২৬ মন মাছের মধ্যে ২২০ কেজি মাছ ৭৬ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হলেও বাকি সম্ভাব্য মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মাছ নিলাম না হওয়ায় তা স্থানীয় বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। নিলামে বিক্রি হওয়া মাছের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমতলী মহাসড়ক দিয়ে পরিবহনে করে অবৈধভাবে মাছ পাচারের ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল ও চেকপোস্ট জোড়দার করা হয়েছে। নিষিদ্ধকালিন সময়ে এই অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়াও তিনি অবৈধ মাছ পরিবহন ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।