অযত্নে অবহেলায় সোনাইমুড়ী'র রাজিবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা।

মোরশেদ আলম,সোনাইমুড়ী প্রতিনিধিঃ
দেশের প্রতিটি ক্লান্তিক এলাকায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সরকার অন্যান্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ গুলোর একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। যেখান থেকে সাধারণ মানুষে বিনামূল্যে ঔষধ সংগ্রহ করে রোগ নিবারন করে আসছেন। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা টাকা ব্যয় করে আসছে এই খাতে। কিন্তু সরকারের এই অর্থ বিফলে যাচ্ছে কিছু দায়িত্বহীন মানুষের কারনে।
রাজিবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত ডাক্তার অর্পিতা ভৌমিক অন্তঃসত্ত্বার কারনে আসছে না গত ৬-৭ মাস থেকে। করোনাভাইরাসের এই ক্ষীণ মুহুর্তে অন্তর্বর্তীকালীন ডাক্তার দেওয়া হলেও সাপ্তাহে ১-২ দিন মন গড়া ইচ্ছে মত একেক সময় একেক জন আসাতে রাজিবপুরের হাজার হাজার রোগীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিয়মিত। ডাক্তার না আসায় প্রতিনিয়ত সেবা না পেয়ে চলে যাচ্ছে অনেকেই। এছাড়াও ক্লিনিকে উঠার দরজা থেকে মাটি প্রায় ২ ফিট নিচে নেমে যাওয়ায় নিয়মিত গর্ভবতী নারী ও বয়োবৃদ্ধারা উঠা নামা করতে সমস্যা হচ্ছে। ক্লিনিকের ভিতরে টিউবওয়েল থাকলেও কবে পানি উঠেছে সেটাও জানেন না খোদ ডাক্তারই! রং উঠে সিলভার কালার হলেও নজরে আসেনি কারো। সাইনবোর্ড খালে পড়ে আছে গত ২ বছর ধরে। খোলা অবস্থায় পতাকা উড়তে দেখা যায় তাও মাঝে মধ্যে। সাড়ে ১০ টায় ডাক্তার আসলেও সাড়ে ১২ টার পর পাওয়া যায়না কখনো।
সংশ্লিষ্টদের অবজ্ঞা এবং দায়িত্বহীনতার কারনে বেহাল দশা সরকারি এই ক্লিনিকে। ক্লিনিকে সুস্থতার জন্যে আসলেও এখানেই বড় অস্বাস্থ্যকর জায়গায় পরিনত হয়েছে। ক্লিনিকের চার পাশে ঝোপঝাড় আর আগাছায় ভরে থাকলেও পরিষ্কারের তোয়াক্কা নেই সংশ্লিষ্ট কারো। স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েকজন বলেন, ডাঃ আমিনুল ইসলাম (বাবর) এর জায়গায় ক্লিনিক স্থাপন করা হয়, এবং সেখানে কমিটি নিয়ে নানা তোড়জোড় সৃষ্টি হয়। কমিটি করা হয় স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে। অতি তাড়াতাড়ি যেনো সঠিক ভাবে পুনরায় কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্যকর সঠিক সেবা প্রদান করা হয় এমনটাই আশা সাধারণ জনগণের।