লালপুরে গাছ পালা কেটে জমি জবর দখলের অভিযোগ

 প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২২, ০৪:১৬ অপরাহ্ন   |   অপরাধ



লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

নাটরের লালপুরে আজিজুল হক (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির জমির গাছ পালা কেটে জমি জবর দখল করে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে পার্শবর্তি মুন্টু প্রাং (৪০) ও পিন্টু প্রাং (৩৮) নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই ভাই উপজেলার আব্দুলপুর (উত্তর পাড়া) গ্রামের মৃত ফকির প্রাং এর ছেলে। এ বিষয়ে লালপুর থানায় গত ৪ জুন একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভুগী আাজিজুল হক। অভিযোগটি জিডি হিসাবে গ্রহন করে লালপুর থানা কর্মরত ডিউটি অফিসার। যার জিডি নং ১৬৮,তারিখ ৪/০৬/২২।


অভিযোগ খেকে জানা যায়, ভুক্তভুগী আজিজুল হক ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মোট আটটি দলিল মুলে মৃত ফকির প্রাং ও তার অংশিদারদের নিকট থেকে ১৯৯ খতিয়ান ভুক্ত ৫৬ নং দাগের ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪৬.৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে খাজনা খারিজ করে ভোগ দখল করে আসছিল। মৃত ফকির প্রাং জীবিত থাকা কালিন সময়ে অভিযুক্ত ওই দুই ভাই উক্ত জমিতে আসেনি। কিন্তু ফকির প্রাং এর মৃত্যর পরে তারা ওই জমিতে তাদের অংশ আছে বলে দাবি করে। এ বিষয়ে গ্রামে একাধিক বৈঠক বসলে অভিযুক্তরা তাদের স্বপক্ষে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে না। সর্বশেষ গত ৪ জুন সকালে অভিযুক্তরাসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সহ এসে আজিজুল হকের জমিতে থাকা মেহগনি, আম, বেল,কলা খেজুরগাছ ও বাঁশ কেটে জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মান করতে শুরু করে। 

ভুক্তভুগী আজিজুল হক জানান, এ বিষয়ে ওই দিনই থানায় অভিযোগ দিলে আব্দুলপুর পুলিশ ফাড়ির এস আই নিজাম উদ্দিনকে ঘটনার তদন্তভার প্রদান করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মিমাংশা না হওয়া পর্যন্ত নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে গোপনে তারা নির্মান কাজ চালিয়ে যায়। পরে গত ১১ জুন থানায় আপোষ মিমাংশায় বসলে অভিযুক্তরা তাদের স্বপক্ষে কাগজ পত্র দেখাতে ব্যার্থ হওয়ায় পুনারায় তাদের ঘর বাড়ি নির্মান বন্ধ রাখতে বলে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে এসে আবার তারা নির্মান কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।


সরে জমিনে গিয়ে গাছ পালা ও বাঁশ কেটে নেয়ার সত্যতা পাওয়া যায় এবং পাকা ঘর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। অভিযুক্ত পিন্টু প্রাং পুলিশের নিশেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে জানান, তারা আট শতাংশের উপর বাড়ি বানাচ্ছেন।


এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের বিষয়ে কোর্টের আদেশ পেলে আদেশ মত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো জানান, অভিযুক্তরা খুব চালাক এবং ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক. কয়েকবার সেখানে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে আসে পুলিশ, আর পুলিশ সেখান থেকে চলে এলেই আবার তারা নির্মান কাজ করতে থাকে।

অপরাধ এর আরও খবর: