সমাজকল্যাণ সংগঠন আলোকিত গোপালগঞ্জ এর উদ্যোগে রমযান মাসব্যাপী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের ১ম পর্ব সম্পন্ন হল

আজ মুকসুদপুর ও কাশিয়ানি উপজেলায় মহামারী করোনার কারনে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় পরিবারগুলির মাঝে (চাল, ডাল, তেল ও আলু সম্বলিত) ফুড প্যাক বিতরণ করা হয়।
এই মহৎ কাজে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন ভাই।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন 'আলোকিত গোপালগঞ্জ' পরিবারের কিছু উদ্যমী তরুন।
রমজানের এই ফুড প্যাক পেয়ে আনন্দিত হয়ে তারক নামে এক ব্যক্তি বলেন - "যারা আমাদের এই দুঃসময়ে পাশে দাড়ালো আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুক"।
সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী প্রিয় ভাই কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বলেন -" ত্রান নিয়ে কোনো রাজনীতি নয় বরং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে পেরে এবং এই মহৎ কাজের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি আর এজন্য আলোকিত গোপালগঞ্জ পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
আলোকিত গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানি প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জুয়েল বলেন- " "লকডাউনে আটকে পড়ে অনেক সচ্ছল পরিবারও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর তাদের খুজে খুজে সাহায্য করতে পারছি এই আলোকিত গোপালগঞ্জ সংগঠনের মাধ্যমে। তাই আজীবন এই সংগঠনের ভালকাজের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।"
রমজানের এই উপহারসামগ্রী বিতরণকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দীন মিয়া বলেন- " বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রতিরোধে আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে এবং লকডাউনের প্রভাবে যারা অনাহারে -অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে আলোকিত গোপালগঞ্জ পরিবার সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকবে। অন্যদিকে, এসময়ে তিনি দেশের সামর্থ্যবানদের এই দুঃসময়ে দুস্থদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। "
সংগঠনের সভাপতি খন্দকার সালাউদ্দিন রানা বলেন- " আলোকিত গোপালগঞ্জ সর্বদা ভালো কাজের সাথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এসময় তিনি করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে এবং সরকার ঘোষিত নির্দেশনা মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন। সবশেষে তিনি এই মহৎকাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।"