যশোরের রাজগঞ্জের নোয়ালী গ্রামে এক কিশোর দাদীকে হত্যার চেষ্টা।

আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
যশোরের রাজগঞ্জের নোয়ালী গ্রামের এক কিশোর পাপজি গেমে আশক্ত হয়ে, স্মার্ট ফোন কেনার জন্য চাচাতো দাদীকে মাঠে ডেকে নিয়ে সোনার গহনা ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। এদিকে গ্রামের কপোতাক্ষ নদের পাড়ে মাদক সেবন ও পাবজি গেম খেলার স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নোয়ালী গ্রামের মফিজুর রহমান শেখ এর ছেলে সজিব হোসেন (১৫) গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার চাচাতো দাদী নুর মোহম্মাদ শেখ এর স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৬৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পশ্চিম মাঠের কপোতাক্ষ নদের পাড়ে নিয়ে যায়। এবং দাদীর গলাই থাকা স্বর্নের চেইন, কানের দুল ও হাতের বালা জোর পূর্বক খুলে নেওয়ার সময় দাদী বাঁধা দিলে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। দাদীর মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে বাগানের ভীতরে গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এর পর গ্রামের মোস্তাক নামের এক যুবক পাশ দিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় বাগানের ভীতর গোংরানী শুনতে পেয়ে এগিয়ে যায় এবং দেখে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বৃদ্ধা মহিলাটি পড়ে আছে। এ সময় তার আত্নচিৎকারে মাঠের লোকজন ছুটে এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে, যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। রুগীর অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। রুগীর স্বজনরা তাৎক্ষনিক ঢাকায় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে রুগীর স্বজনরা জানাই। অভিযোগ উঠেছে নোয়ালী গ্রামের শেখ পাড়া থেকে শুরু করে পশ্চিম মাঠের রাস্তার পাশ দিয়ে ও কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে বিকেল থেকে শূরু করে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন ও পাবজি গেম খেলার আড্ডা চলে।
এর কারনে নষ্ট হচ্ছে এলাকার যুবক ও কিশোর সমাজ। স্থানীয় অনেকেই জানাই কিশোর সজিব একজন মাদকসেবী ও পাবজি গেম খেলায় আশক্ত। যার কারনে সে নেশার আগোলে পড়ে দাদীকে হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করতে পিছপার হয়নি সে। দেখা গেছে ঘটনাটি একই পরিবারের মধ্যে তাই একজন কিশোর হয়ে হত্যার চেষ্টার মত জঘন্য অপরাধ করলেও বিষয়টি ধামা চাপা দিয়ে রেখেছে স্থানীয়রা। তবে সোনার গহনা ছিনিয়ে নেওয়া ও হত্যার চেষ্টার মত এত বড় একটা ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের নজরে না আশায় এলাকার অনেকেই দু:খ প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে কথা হয় বৃদ্ধার স্বামী নুর মোহম্মাদের সাথে তিনি প্রতিনিধিকে জানায় বিষয়টি পারিবারিক তাই আপোষ মীমাংসার কথা চলছে।