রায়পুরে প্রধান শিক্ষক রশিদের নামে সরকারী গাছ কাটা ও টিন আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে।

 প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২০, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন   |   অপরাধ


লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি শরিফ হোসেনঃ 

 লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২ নং উত্তর চরবংশী ইউপির সিকদার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত টিন ও স্কুলের সামনের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে।


স্থানীয়দের অভিযোগ,গত ৬ অক্টোবর সকাল ১১ টায়  ২ নং উত্তর চরবংশী ইউপির সিকদার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি গাছ কেটে স্কুলের প্রধান শিক্ষক  আবদুর রশিদ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করে।পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থলে গাছগুলো রেখে চলে যায় প্রধান শিক্ষক।


এর আগেও একাধিকবার গাছ কেটে নিয়ে যায় আবদুর রশিদ।শুধু গাছই নয়,স্কুলের টিনগুলো নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় আবদুর রশিদ।প্রধান শিক্ষকের অপকর্মের সাথে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।


স্থানীয়দের একজন উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে টেলিফোনে জানাই।প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে শিক্ষা অফিসার জানিয়েছে।


এব্যাপারে স্কুল সভাপতি আলাউদ্দিন শিকদার বলেন,গাছ কাটার জন্যে ওনাকে উধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার জন্যে বলেছি।অনুমতি নিয়েছে কিনা?সেটা আমি জানি না।আমি এলাকার বাহিরে আছি।প্রধান শিক্ষক কি করেছে এই বিষয়ে আমি কিছুই যানি না।স্কুলের ভবন নিমার্ণের জন্যে গাছগুলো কাটা হয়েছে।


সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের খবর পেয়ে চুপি-চুপি খোঁজ-খবর নিতে আসেন প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ।একপর্যায়ে আবদুর রশিদকে ক্যামরা বন্ধীর চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এবং বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করে।


রায়পুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে,এম মোস্তাক আহমেদ বলেন,প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমানের ব্যাপারে স্থানীয়রা চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছে।আমি লোক পাঠিয়েছি।স্থানীয় একজনের থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


উল্লেখ্য সংবাদ কর্মীদের সাথে প্রধান শিক্ষকের খারাপ ব্যবহারের জন্যে দু:খ প্রকাশ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে,এম মোস্তাক আহমেদ।


এলাকাবাসী হারুন সিকদার বলেন, এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় গাছ কেটে নিয়ে যায় এমনকি বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের টিন সে নিয়ে বাড়িতে ব্যবহার করে। 


আল আমিন রাড়ী বলেন,এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গত কাল সকাল ১১ টার দিকে দেখি গাছ কেটে তার বাড়িতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিলেন তখন আমি এসে তাকে বাধাঁ দেই। তার পর তাকে জিজ্ঞাসা করি আপনি যে গাছ কাটছেন কেনো কাটলেন তিনি কিছু না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

অপরাধ এর আরও খবর: