গোপালগঞ্জে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হুমায়ুন কবির বিল্লাল কে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

শহিদুল ইসলাম শহিদঃ
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ওরফে বিল্লালের স্ত্রী ফারহানা কবির।
গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকাস্থ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক হুমায়ুন কবির ওরফে বিল্লালের স্ত্রী ফারহানা কবির। গত২১ জুন দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামের আলী খান ও তার ছেলে রুহুল আমীন খান রিপন গংরা ২৯ অক্টোবর গ্রামের প্রতিপক্ষের একটি ছেলেকে বেধরক মারপিট করে সেটাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো।এই বিরোধের জের ধরে ২০২০ ইং সালে ৩০ অক্টোবর সকালে স্হানীয় হাজরা তলা মোড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে রুহুল আমীন খানের ভাই সুমন খান নিহত হন।এঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়ি ভাংচুর করে সেমিপাকা বাড়ির বসত ঘরের দরজা,জানালা,সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়,ঘরের বেড়ার টিম ও চালের টিন খুলে নিয়ে যায়! ঘরের মধ্যে থাকা মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করো নিয়ে যায়,বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ধরনে মূল্যবান গাছ যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার কারনে আমার শাশুড়ী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আমার শাশুড়ী স্ট্রোক করে মারা যান।আমার স্বামী হুমায়ুন কবির ওরফে বিল্লাল হত্যাকান্ড ঘটনার সাথে কোন প্রকার জড়িত ছিলেন না? ঘটনার দিন তিনি উপস্হিত ছিলেননা? কোন কিছুতে জড়িত না থাকা সত্বেও আমার স্বামীর সৎ চাচার ছেলে রুহুল আমীন খান রিপন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে শুধু মাত্র ব্যক্তি আক্রশের কারনে তাকে প্রধান আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান (ওসি তদন্ত) দীর্ঘ তদন্ত শেষে আমার স্বামীর হত্যাকান্ড সংঘটিত কোন প্রমান না পেয়ে অভিযোগ থেকে তাকে অব্যহতি দেন।এর আগেও আমার স্বামীর সৎ চাচা আলী খান গত ২০০৫ সালে ৩২৬ ধারা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহা বিচারিক আদালতে মিথ্যা প্রমান হয়ে বেকুসুল খালাস পান,তার পর থেকে দীর্ঘ ১৬ বৎসর সৎ চাচা ও তার ছেলেদের অত্যাচারের কারনে ঢাকাতে বসবাস করেন।রিপন গংরা আমাদের গ্রামে থাকা জমিজমা জোর জবরদখল করে অন্য লোকজনের কাছে টাক করালি দিয়ে মোটা অংকের টাকার গ্রহন করতেছেন যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী। রিপন গাং সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমার স্বামী কে সামাজিক, অর্থনৈক ভাবে ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমি উক্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমার স্বামীর সৎ চাচার ছেলেরা ও তার গংরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যে, মিথ্যা স্টাটাসের বিরুদ্ধে ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকাস্থ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক হুমায়ুন কবির ওরফে বিল্লালালের স্ত্রী ফারহানা কবির।