নবীনগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক যুগান্তর প্রতিনিধি উজ্জ্বলকে আসামী করে হত্যা মামলা।

 প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ



   


মোঃ সাদেক আহমেদ আকাশ  নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। 

 সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ উজ্জলকে (৪৫) হত্যা মামলার আসামী করে মামলা দায়ের করার তথ্য পাওয়া গিয়েছে । মূলত দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় যে হত্যা কান্ড ঘটেছে সে সময় উজ্জ্বল এলাকায় ছিলেননা বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উজ্জ্বলকে  হত্যা মামলার আসামি  করায় সাংবাদিক সমাজের মাঝে আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার  ঝড় উঠেছে।


ঘটনা স্থলে উপস্থিত না থেকেও মামলায় উজ্জ্বলকে ১ নাম্বার আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। উজ্জ্বল নবীনগর  উপজেলার সর্বপশ্চিমের  সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি,বাড়াইল গ্রামের ওবায়দুল হক চেয়ারম্যানের  ছেলে।


২৯ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল গ্রামের দু’পক্ষের লোকজনের পূর্ব বিরোধের জের ধরে (২৯এপ্রিল) মঙ্গলবার দূপুর ১২টায়  দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মুন্সি (৫২) নামে একজন নিহত এবং উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।


ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার(১মে)রাতে ৩৩ জনকে এজাহারভুক্ত ও ২০/২৫ অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ১নংনম্বর আসামি করা হয় মোস্তাক আহমেদ উজ্জলকে।

এ মামলায় আসামিদের তালিকায় আরও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় এসএসসি পরীক্ষায় ডিউটিরত থাকলেও শিক্ষক জাকির হোসেনকেও ২৬নং আসামি করা হয়।জাকির হোসেন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ থাকারও আসামি করায় স্থানীয় শিক্ষক সমাজও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। 


মামলা সূত্রে জানা যায় ,ঘটনার দিন আজিজ মুন্সি নরসিংদী থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময়,বেলা তিনটার দিকে তাকে উপজেলার থোল্লাকান্দি মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তা হইতে আটক করে তোরাগের খালপাড় কাঁচা রাস্তায় নিয়ে যায়,পরে হত্যার উদ্দেশ্যে মোস্তাক আহমেদ রামদা দিয়ে মাথার ডান দিকে কুব দিয়ে জখম করে।


এবিষয়ে মোস্তাক আহমেদ বলেন,এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার দিন আমিসহ আমারা কয়েকজন ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদরে ছিলাম। বেলা আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এডিসি (রাজস্ব) মহোদয়ের সাথে দেখা করে তিনটা ৫২ মিনিটে ইউসিবি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখায় ম্যানেজারের রুমে ছিলাম। সিসিটিভির ফুটেজ এবং আমার মোবাইল লোকেশন ট্রেকিং করলে সত্য বেড়িয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন,এলাকায় না থেকেও হত্যা মামলার ১ নাম্বার আসামি হয়ে গেলাম। মামলার বাদী কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমাকে হয়রানি করতে আসামি করেছে।


উজ্জলকে হত্যা মামলায় আসামি করায়,নবীনগর প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন,প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ হোসেন শান্তি বলেন,আমরা জানি, ঘটনার দিন উজ্জল সারাদিন জেলা সদরে ছিলেন, সেখান থেকে কি করে একটা মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে? থানার অফিসার ইনচার্জ কে বলেছি, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রান শিকার না হয়। অবিলম্বে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হউক, নতুবা সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।


নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাদীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এজাহার নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত ও যাচাই-বাছাই করে এজাহারে উল্লিখিত কেউ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলে চার্জশিট থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে।

সারাদেশ এর আরও খবর: