পিতার নামে জলাশয় লীজ দেয়ায় রেল কর্মকর্তা রাশেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু।

 প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ




সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ সরকারের রেল আইন ভঙ্গ করে রেল কর্মকর্তার পিতার নামে রেলের জলাশয় বন্দোবস্ত দেওয়ায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পাকশী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাকশী রেল অঞ্চলের সহকারী ভু সম্পত্তি কর্মকর্তা মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি লাহিড়ী মোহনপুর টু দিলপাশার স্টেশনের মধ্যবর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বংকিরাট মৌজার দিলপাশার রেলসেতুর নিচের বিবাদমান জলাশয় পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটি। এ সময় কমিটির অপর দুই সদস্য উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের কর্মরত কাকন গো শরিফুল ইসলাম এবং পাকশী হেড কোয়াটারের অফিস সহকারী আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন। 

অভিযোগকারী তুহিনের অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৭০ সাল থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বংকিরাট মৌজার সীমান্তে দিলপাশার রেলসেতুর নিচে সি এস-২৫ (টিপি নং-১৫৪/৫ থেকে ১৫৪/৬) দাগে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ জলাশয় মৎস্য আহরণের জন্য রেল আইন মেনে খাজনা পরিশোধ করে উল্লাপাড়া উপজেলার বংকিরাট গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা ও তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লায়েক মির্জা উভয়ে এই জলাশয়ের পাশ্ববর্তী জমির মালিক হওয়ায় ৫৫ বছর ধরে জলাশয়টি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করেন। তাদের অবর্তমানে লায়েক মির্জার সন্তান মির্জা কে.  ই তুহিন ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু  চলতি বছরে খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে তুহিন দেখতে পান তাদের ভোগ- দখলী জলাশয়টি কোন রকম নোটিশ ব্যতীত অবৈধ উপায়ে কতৃপক্ষ জনৈক আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে নতুন করে গত ২৮ জুলাই- ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) রাজশাহীতে কর্মরত সংস্থাপন কর্মকর্তা তার পিতার নামে বন্দোবস্ত দিয়েছেন। এই সুচতুর, দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে স্বজনপ্রীতি করে তার পিতা আলী আকবর (বাসা ১০/৫, মোল্লাপাড়া রোড, খালিশপুর, খুলনার নামে অবৈধভাবে খাস আদায় করেছেন। এটা রেলওয়ে আইনের নিয়ম ও বিধিবর্হিভুত। মির্জা কে. ই তুহিন ব্যবস্থা চেয়ে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক এবং পাকশী মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন কতৃপক্ষ। 


মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দাবি অবৈধ ইজারা বাতিল পুর্বক পুনরায় প্রকৃত ইজারদাদের নিকট হস্তান্তর করে শান্তি স্থাপন করার অনুরোধ জানান তারা। 


তদন্ত কমিটির প্রধান পাকশী সহকারী ভু- সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মামুন অর রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি আরও অধিক তদন্ত সাপেক্ষে রির্পোট প্রদান করা হবে।


এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা- পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাদেশ এর আরও খবর: