হাল ছেড়ো না

--------------------//রওশন আরা আঁখি
জীবন যেন,
বিষন্নতা, অভিমান সুখ, দুখ
এর মহাকাব্য,
কাব্য পড়ার সময় আছে কার?
স্বার্থপরতার চাদরে মুড়ে গেছে ধরনীর দেয়াল,
বিষন্ন হৃদয়ের কান্না শোনার নেই খেয়াল।
সবাই সবার দোষ খোঁজায় ব্যাস্ত ভারী,
কে ভাংবে কার আড়ি?
ধর, চারদিকে বইছে তুমুল সমালোচনা নিন্দার ঝড়,
বুঝে নিও, নিশ্চয়ই তুমি
করেছো কারো উপকার।
নিন্দুকের উপকারের সময়ের
বড় অভাব,
অন্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করাই তার স্বভাব।
তাই বলে কি থমকে যাবে পথ চলা?
অবশ্যই না!অবশ্যই না!!
অভিমান, বিষন্নতা একান্তই নিজের,
ভাল না লাগলে ছুঁড়ে ফেলে দাও সমুদ্রতল,
জীবনে ধর নতুন হাল।
আছেন তো তিনি মহান মহীয়ান!!
তিনি করে দিবেন কল্যাণ।
আবার চারপাশে ঘুরঘুর করবে দুধের মাছি,,
তখন আবার খেতে দিও দুধের চাছি।
সাবধান ভুল করে ও আবার পড়ে যেও না
মাছির ফাঁদে,
যদি পড় আর পারবে না
নিজেকে ফিরাতে।
সু্যোগ আসে না বারবার,
নিজেকে শোধরাবার।
কিছু কষ্ট, কিছু অভিমান,
ছেড়ে দাও সময়ের হাতে,
জীবদ্দশায় দেখে যেও
সুবিচার নিশ্চয়ই পেয়ে যাবে।
নিজেকে ভালবেসে,
সকল অভিমান ভুলে,
শেষ পথ থেকে শুরু কর
নতুন পথ চলা,
বেঁচে থাকাকে করো আনন্দময়,
জীবন হোক সুখের ডালা।